পাথরঘাটার জিনতলা সহ বেড়িবাধ এলাকার মানুষের ঘূর্ণিঝড় ফনী’র ভয়ে গত ৬ দিনে ঘুম নেই

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:৩৩ এএম, ২ মে ২০১৯

পাথরঘাটার জিনতলা সহ বেড়িবাধ এলাকার মানুষের ঘূর্ণিঝড় ফনী’র ভয়ে গত ৬ দিনে ঘুম নেই   পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় ফনী’র ভয়ে উপকূলের মানুষ এখন নির্ঘুম রাত কাটছে। শুধু ভয় একটাই কখন ঘূর্ণিঝড়
পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় ফনী’র ভয়ে উপকূলের মানুষ এখন নির্ঘুম রাত কাটছে। শুধু ভয় একটাই কখন ঘূর্ণিঝড়
ফনী আঘাত হানবে আর সবাই ভাবে, কখন যেন তাদের ছেলেমেয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় রাক্ষুসে নদীতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফনী । প্রতি বছরই এ সময়টায় পাথরঘাটার নদীর পাড়ের মানুষ থাকে আতঙ্কে এবং হারিয়ে যায় বেড়িবাঁধের আশপাশের কয়েকশ’ ঘরবাড়ি সহ অনেক মানুষের প্রান ।

বর্ষা মৌসুমে এই পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে ছিলো। কিছু কিছু বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে জোয়ারে এখনো সব সময় পানি উপচে পড়ে ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের কারণে পাথরঘাটা উপকূলের জিনতলার মানুষের দুর্ভোগ এখন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে ভয়ে ভয়ে কাটছে তাদের দিন রাত

উল্লেখ গত সপ্তাহ থেকে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফনী সতর্কবার্তা পেয়ে ভয়ে রাতে ঘুমান না জিনতলা এলাকা সহ বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষ। জিনতলা বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা আজিম খা জানান এখানে যারা বসত করে এর মধ্যে বেশিরভাগ জেলে ও ক্ষেত খামারের কাজের সাথে জড়িত গরিব কৃষকের সংখ্যা বেশি, তিনি বলেন আমারা এর আগেও ২০০৭ সালে ভয়াবহ সিডরে অনেক, কে হারিয়েছি সেই রেশ না কাটতে বয়েছি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় টর্নেডোর মত পানি বন্যা মহসিনের পানির চাপ।

আরো অনেকেই বলেন আমাদের এই গ্রাম ছাড়া অন্য কোথাও ভিটা বাড়ি নেই যেখানে মাথা ঘোজার ঠাই হবে।
আজিজ খা বলেন পাথরঘাটার উপজেলা কর্মকর্তা ও রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের দাবী ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফনী সতর্কবার্তার আওতায় যেনো আমাদের রাখা হয়, আমরা খুব বিপদগ্রস্ত রাতে এখানে পাহাড়া দিতে যুবকদের। সাথে আমিও থাকি কখন সাগর উত্তাল হয় গত ৬ দিন যাবত গ্রামের কোন মানুষ রাতে ঘুমায় না ভয়ে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলা পাথরঘাটায় প্রস্তুতি সভা করেছে উপজেলা রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বুধবার (১ মে) সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন মোল্লার সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও স্থানীয় সাংবাদিকরা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা, দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগ কালীন ও পরবর্তী সময়ে খাদ্য সরবরাহ, মেডিকেল টিম গঠন, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও কন্ট্রোল রুম খোলাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)