ভোলায় কারাদণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবৈধ রেনু ব্যবসায়ীর মুক্তি!

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ এএম, ১৭ জুন ২০১৯

ভোলায় কারাদণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অবৈধ রেনু ব্যবসায়ীর মুক্তি!ভোলায় বাগদা চিংড়ির রেনু পোনা সংরক্ষণ করে তা বাজারজাত করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক বাগদা ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হলেও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তাকে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৬ জুন) ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রায় লক্ষাধিক বাগদা চিংড়ির পোনা আটক করায় জিন্নাহকে ঘটনাস্থলেই সাধারণ জনতার সামনে কোর্ট পরিচালনা করে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

জানা যায়, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্নাহ ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি এলাকায় অবৈধ রেনু পোনা ড্রামে করে অবৈধভাবে বরিশাল হয়ে খুলনা পাচার করতেন।

স্থানীয়রা জানান, জিন্নাহ একজন চোরাকারবারি। বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে রেনু, জাটকা ইলিশসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। অবশেষে মোবাইল কোর্টে তাকে আটক করে জেল ঘোষণা করা হলেও তিনি প্রকাশ্যে বলে ওঠেন আমি জেলে যাব না। পরে তাকে জেলের বাইরে দেখায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কাওছার হোসেন জানান, জিন্নাকে দেওয়া সাজা আইনটা অ্যাপ্লাইবেল ছিলো না। মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ অনুযায়ী তাকে এক মাসের সাজা দেওয়া যায় না। এই আইনে সর্বনিম্ন একবছর ও সর্বোচ্চ দুই বছর সাজা সাথে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পোনা সংরক্ষণের ঘরটি তার নিজের স্বীকার করলেও পোনাগুলো তার নয় বলে জানালে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া যায়নি। আইন অনুযায়ী তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে জিন্নাহকে পূর্ব শত্রুতার জন্য মিধ্যা তথ্য দিয়ে মোবইল কোর্টের হাতে আটক করিয়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট। (কালের কন্ঠ)

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)