সারা দেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজসারা দেশে নৌপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধের ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন ফেরি চলাচল আগের মতোই স্বাভাবিক থাকবে বলেও জানান সংস্থাটি। 

গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।এদিকে বিআইডব্লিউটিএর এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন আটকেপড়া যাত্রীরা।

করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের সব যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

তবে এদিন রাজধানীর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে ক্ষোভ জানান তারা।

স্বপরিবারে ঢাকার মিরপুর থেকে আসা রাকিব উদ্দিন জানান, ঘাতক ব্যাধি করোনা থেকে বাঁচতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চাঁদপুরে গ্রামে বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম। এখন লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়ায় যেতে পারছি না। আগে থেকে জানালে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারতাম। তার মতো অনেকেই এমন অভিযোগ করে বলেন, সরকার আমাদের ভালোর জন্য করেছেন তবে একটু আগেভাগে জানালে প্রস্তুতি থাকতো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডিব্লিউটিএ এর ঢাকা নদী বন্দর ট্রাফিক যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, করোনার প্রার্দুভাব ঠেকাতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে হঠাৎ করে টার্মিনালে প্রায় লক্ষাধিক সন্ধ্যার যাত্রী এসে পড়ায় এমন ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যাত্রীদের বুঝিয়ে যার যার বাড়িতে চলে যেতে বলেছি। এখন টার্মিনালের অবস্থা স্বাভাবিক বলেও জানান তিনি।

সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম জানান, করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সাময়িকভাবে কিছুটা অসুবিধা হলেও যাত্রী সাধারণের মঙ্গলের জন্য এটি খুবই ভালো উদ্যোগ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৭ জন করোণায় আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন তিনজন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)