মঠবাড়িয়ায় চেয়ারম্যানের কান্ড!

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ১০ জুন ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজ
মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসানের বিরুদ্ধে একটি দরিদ্র কৃসক পরিবারের ওপর নির্যাতন, জমি জবরদখল এবং মিথ্যা মামলা মামলা দিয়ে কৃষককে জেল হাজতে প্রেরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উত্তর মিঠাখালী গ্রামের কৃষক আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী শিল্পী বেগম আজ বুধবার সকালে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

গৃহবধূ শিল্পী বেগম লিখিত অভিযোগে জানান, মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর মিঠাখালী গ্রামে তার স্বামী আনোয়ারুল ইসলামের পৈত্রিক ৯ কাঠা জমিতে তারা বংশানুক্রমে বসবাস করে আসছেন। মঠবাড়িয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হাসান দীর্ঘদিন ধরে তাদের বসতির জমি দখল করে আমাদের উচ্ছেদের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইতি পূবে ২০০৯ সালে চেয়ারম্যান ও তার দলবল মাঝেরপুল বাজার সংলগ্ন ৫ কাঠা জমি জবর দখল করে রাতের আঁধারে সেখানে ঘর উত্তোলন করেন। চেয়ারম্যানের হুমকী ধামকি ও প্রাণনাশের ভয়ে ওই জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছেনা। এ নিয়ে আদালতে একটি মামল বিচারাধীন রয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, গত ১১/০৩/২০২০ ইং তারিখ চেয়ারম্যানের যোগ সাজশে ও প্ররোচণায় পল্লী বিদ্যুতের লোকজন অন্যায়ভাবে গৃহবধূ শিল্পী বেগমের ঘরের বিদ্যুতের মিটার খুলে নিয়ে যায়। এতে তার পরিবার বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েন। ঘরের বিদ্যুত লাইনের তার ও আনুসঙ্গিক মালামাল চেয়ারম্যানের লেলিয়ে দেওয়া লোকজন
চুরি করে নিয়ে যায়।

সর্বশেষ, গত ০২/০৬/২০২০ ইং তারিখ দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান ফারুক হাসান তার তিন সহযোগিরা মিলে বাড়ির সীমানা বেড়া ভাংচুর শুরু করে । বাঁধা দিতে গেলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার স্বামী আনোয়ারুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। চেয়ারম্যানের উপস্থিতে এ ঘটনা ঘটিয়ে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী আমাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকী দিয়ে চলে যায়। এরপর চেয়ারম্যান ফারুক হাসান বাদী হয়ে ভূক্তভোগি স্বামী আনোয়ারুলকে প্রধান আসামী করে দুইজনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ কৃষক আনোয়ারুলকে কোনও সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।

ভূক্তভোগি গৃহবধূ চেয়ারম্যান ফারুক হাসানের অত্যাচার নিপীড়ন আর হুমকীর বিষয়ে তার দেবর মিজানুর রহমান, চেয়ারম্যান ফারুক হাসান ও তার দুই সহযোগির বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। যার নম্বর- ৩৮৩, তারিখ-০৮/০৩/২০২০ ।

এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অভিযোগকারীরা এদেশে কেউ থাকে না, তাদের এদেশে বাড়ি-ঘর নাই, এদের বাপ-দাদারা ৫০ বছর আগে তার বাপ-চাচার নিকট জমি বিক্রি করেছেন। ক্রয়কৃত এবং পৈতৃক সম্পত্তি তারা ৫০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন বলে চেয়ারম্যান জানান।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)