মঠবাড়িয়ায় মিথ্যা মামলায় ব্যবসায়ীকে হয়রানীর অভিযোগ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ছবিঃ সংগ্রহীতপিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পাওনা টাকা চাওয়ায় পৌর শহরের এক ব্যবসায়ীর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গছে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী ন্যায় বিচার চেয়ে থানা পুলিশ, বণিক সমিতি ও সাংবাদিকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের মৃত মোনাচ্ছের পঞ্চায়েতের পুত্র সুলতান মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে পৌর শহরের মুদি মনোহরীর ব্যবসা করে আসছিল। ওই দোকানের ক্রেতা হিসেবে পরিচয় ঘটে শহরের পূর্ব কলেজ রোড দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী কুলসুম বেগমের সাথে। পরিচয়ের গত তিন বছরে বিভিন্ন সময় কুলসুম দোকান হতে ৭২ হাজার টাকার মালামালও বাকীতে নেয়। এক পর্যায়ে ওই নারী ব্যবসা করার জন্য দোকান ঘর ক্রয় করার উদ্দেশ্যে ওই ব্যবসায়ী সুলতানের কাছে টাকা ধার চায়। সুলতানের কাছে টাকা না থাকায় তাকে জামিন রেখে লভ্যাংশ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিখিত চেক, কার্টিজ পেপার ও ষ্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ১৩/১৪ জন লোকের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেয়। দীর্ঘদিন ওই টাকা পরিশোধ না করায় পাওনাদারদের তাগিদে ওই নারীর কাছে সুলতান টাকা চাইলে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে অধৈর্য্য হয়ে ব্যবসায়ী সুলতান গত ১৬ নভেম্বর’২০ তারিখ বণিক সমিতি বরাবরে একখানা লিখিত অভিযোগ দেন।

এ নিয়ে বণিক সমিতির শালিস বৈঠকও হয়। শালিস চলমান অবস্থায় গত ১৮ জানুয়ারী’২১ কুলসুম বেগম মঠবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ওই ব্যবসায়ী সুলতান সহ অজ্ঞাত ৮/১০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় উল্লেখ করে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী সুলতান ও অজ্ঞাত ৮/১০ জন লোক স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী না হলে ওই ব্যবসায়ী ও তার দলবল জোর পূর্বক তার ঘরে থাকা ৭/৮টি অলিখিত চেক ও ২০/২১টি অলিখিত ষ্ট্যাম্পে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়। এসময় কুলসুমের স্বামীর আলমারীর ভিতরে থাকা নগদ ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে সুলতান বলেন, ওই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট। তিনি আরও বলেন, আমার ও পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ না করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। ওই নারীর দায়ের করা মামলার স্বাক্ষী প্রতিবেশী রানী বেগম বলেন, তাকে না জানিয়ে এই মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে। মামলায় আনা অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তবে পাশা পাশি ঘরে থাকা অবস্থায় জেনেছি ওই মহিলার কাছে ব্যবসায়ী সুলতান টাকা পায়।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আ.জ.ম মাসুদুজ্জামান মিলু বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)