মোবাইল গেমসে ধ্বংস হচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থী

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজবর্তমান যুবক-যুবতিরা ধ্বংস হচ্ছে মোবাইল গেমস এর মাধ্যমে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে ক্লাশ করার নাম নিয়ে সারাক্ষণ মোবাইলে গেমস খেলতে পছন্দ করে। অথচ প্রতিটি অভিভাবক বুঝেন তার ছেলে-মেয়ে অনলাইনে ক্লাশ করতেছেন।

বর্তমান অনলাইন ক্লাশ নেয়ার সুযোগে শিক্ষার্থী মোবাইল পাচ্ছে মা-বাবার কাছ থেকে।

আবার অনেকে ছেলে-মেয়েকে বাবা মোবাইল কিনে দিয়ে থাকেন।

আবার ইতিমধ্যে সরকার ডিভাইস ও নেট স্বল্প মূল্যে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের জন্য। বেশ ভাল তাতে অন্যান্যরাও সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকবেন।

এখন ছেলে-মেয়েদের সুযোগটা আরো একটু বেড়ে গেলো গেমস খেলতে। বাবা-মার চোখকে ফাকি দিয়ে সারাক্ষণ গেমস খেলেন বর্তমান শিক্ষার্থী।

আমি অনলাইন ক্লাশের বিরোধিতা করি না কিন্তু অনলাইনে ক্লাশের নামে যা ঘটতেছে তার বিরোধিতা করছি।

অনেকেই বলে থাকেন আপনি গেমস নিয়ে লেখালেখি করি কেন সেজন্য অনেকে বাজে মন্তব্যও করে থাকে। যাক সমাজে কিছু করতে গেলে আলোচনা সমালোচনা থাকবেই। বিরোধী যারা করেন তারা যখন তাদের ছেলে মেয়ে দিয়ে এরকম দূর্ঘটনার সম্মুখীন হবেন তখন তারাই আমার মত বিরোধিতা করবেন বলে বিশ্বাস করি।

শুধু গেমস খেলেই যে ধ্বংস হচ্ছে এমন না তার পাশে নেশায়ও লিপ্ত হচ্ছেন যুবকরা। বছর খানিক আগে সম্ভবত ব্লু-হোয়েল গেমস সারা বিশ্বজুড়ে খেলছিলো তখন আমরা যারা বিরোধী করছিলাম তখন বর্তমান বিরোধীতা করছে যারা তারা তখনো এরকম বিরোধীতা করছিলো।

ব্লু-হোয়েল গেমস খেলতে গিয়ে কত যুবক প্রান দিয়েছেন সেটা আমরা সবারই জানা আছে। বর্তমানে যে সকল যুবকরা মোবাইল গেমস খেলে তাদের নিকটাত্মীয় কেউ কল দিলে কেটে দিয়ে খেলায় মগ্ন হয়ে থাকে। আমার বিশ্বাস এই যুবকদেরকে তার মা-বাবা কিংবা আত্মীয় স্বজন মারা গেলে খবরের জন্য কেউ কল দিলে তা কেটে দিয়ে ২৪ ঘন্টা পর বা না দিয়ে ২ দিন পর খবর শুনবে তার মা বাবা আত্মীয় স্বজন মারা গেছেন। তখন কেমন হবে বলেন। অতএব প্রত্যেক অভিভাবকদের উচিত ছেলে মেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখা উচিত।

পাঠকদের অনুরোধে আমার এই লেখা, কথাগুলো এলোমেলো তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।

লেখকঃ মাওলানা নূরুজ্জামান আলমাসী।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)