পাথরঘাটায় বিএনপির ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের মামলা, আটক ৫

পাথরঘাটায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাবেক সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম মনির আগমনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ-বিএনপির ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বিএনপির ৪০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে আওয়ামী লীগ। এ ঘটনায় পাঁচজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু এ মামলা করেন। মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১০০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরের দিকে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মো: আবদুল ছালাম মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

আটককরা হলেন বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফাইজুল মালেক সজিব, পাথরঘাটা ছাত্রদলের সদস্য সচিব খাইরুল ইসলাম, রায়হানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন নয়ন, ছাত্রদল নেতা হাসিব ও শাওন।

পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান, কেন্দ্রঘোষিত তেল গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ঘোষণা করা হয়। এজন্য পাথরঘাটা থানায় লিখিত অনুমতিও চাওয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার আগেই নুরুল ইসলাম মনির ওপরে হামলা হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন বলেন, সারাদেশেই বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পায়তারা করে আসছে। মনি এর আগেও পাথরঘাটায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর কারণে তাকে হুশিয়ার করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার কাছে যায়। এ সময় তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা চালায় এবং শতাধিক মোটরাসাইকেল ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় তিনি সন্ত্রসী কর্মকাণ্ড চালালে নুরুল ইসলাম মনিকে পাথরঘাটার মাটিতে পা ফেলতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারী দেন।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, বরগুনা-২ আসনের বিএনপি সমর্থিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়া হয়ে পাথরঘাটায় আসেন। পথিমধ্যে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় নুরুল ইসলাম মনির সাথে থাকা লোকজন ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে মনি, কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয় এবং শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।