দেশের মানুষ, তরুণ সমাজ আমার সিনেমা দেখতে উচ্ছ্বসিতঃ শাকিব খান

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০১:০৬ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

শাকিব খান
অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকায় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান। আগামী ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশে তার অভিনীত কলকাতার ‘চালবাজ’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। এতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী শুভশ্রী। সাফটা চুক্তির মাধ্যমে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এই সিনেমাসহ নানা বিষয়ে কথা বলছেন তিনি।

‘চালবাজ’ ছবিটি মুক্তি নিয়ে অনেক জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সব জটিলটা কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে-
ভালো সিনেমা, সব সময় বড় সিনেমা রিলিজ দেওয়া একান্তই দরকার। তাতে মার্কেট বড় হয়। দর্শক সমাগম বেশি হয়। বৈশাখের সময় ফেসবুকে দেখেছি ফলাও করে দর্শক চালবাজকে দেখতে চেয়েছে। অনেকেই লিখেছে পহেলা বৈশাখের আনন্দটাই মাটি হয়ে গেল। বড় উৎসবে শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবী জুড়েই বড় বড় সিনেমা মুক্তি পায়। আর তাতে দেখা যায় সেই সিনেমা মাইলফলক হয়ে থাকে। চালবাজ বৈশাখে রিলিজ হওয়া খুবই দরকার ছিল। সিনেমা রিলিজকে কেন্দ্র যে ধরনের ব্যাপার ঘটে, সেটা আসলে দুঃখজনক।

আপনার বিরোধীপক্ষ চায়নি বৈশাখে এটি মুক্তি পাক। তবুও মুক্তি পাচ্ছে। শুধু তাই নয় রেন্টালের দিক দিয়ে চালবাজ রেকর্ড গড়ছে। এই বিষয়টা কিভাবে দেখেন?
ওপর দিকে থুথু দিলে নিজের মুখেই পড়ে। এগুলো আমি দিতেই চাই না। আমি কার বিরুদ্ধেই বা বলতে যাব। আমার মনে হয় একটু জ্ঞান-বুদ্ধি করে তাদের কাজ করা উচিত। সত্যিকার অর্থে কোন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো হয়। পহেলা বৈশাখে চালবাজ মুক্তি পাবে না, কোনো সমস্যা নাই। পরের এক বা দুই সপ্তাহ পর মুক্তি পাবে সেটা আমার কাছে ম্যাটার করে না। আমি সেটা ফিল করি না। মাঝে যে নোংরামিগুলো, এটা একমাসেও রিলিজ করা যাবে না। ওমুক ডেটে রিলিজ করা যাবে না, তমুক ডেটে রিলিজ করা যাবে না, আরেহ আশ্চর্য। আপনার যদি হিতাহিত জ্ঞানটা থাকে তাহলে আপনার বোঝা উচিত যে, শাকিব হচ্ছে আমাদের ছেলে। ছবির নাম ‘চালবাজ’, হিরো হচ্ছে লিডিং। সেখানে আমরা প্রাউড ফিল করবো। এটা আমাদের প্রাউডের জায়গা। সাকিল আল হাসান যখন আইপিএল খেলছে, পৃথিবীর বড় বড় টুর্নামেন্ট যখন খেলছে, সেখানে ক্রিকেট বোর্ড বা ক্রিকেটের সাথে যারা জড়িত আছেন সবাই কিন্তু তাকে পুশ করছে, সাপোর্ট করছে আমাদের সাকিব। সাকিব আল হাসান কিন্তু আরও পাঁচটা প্লেয়ারকে সাহসটা যোগাচ্ছে। আজ সাকিব আল হাসান খেলছে, তাকে দেখে তার জুনিয়রাও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।

কিন্তু সিনেমার ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায় না। তবে একটা টাইমে দেশের মানুষ কিন্তু প্রাউড ফিল করছে। শাকিব খান দেশের বাইরে সিনেমা করছে। ভিন্নদেশে গিয়ে তার একটা অবস্থান তৈরি করছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু অহংকার করছে। শুধু আমাদের এখানকার কিছু খারাপ মানসিকতার লোক অন্য চিন্তা করে। দেশের মানুষ কিন্তু স্যোশাল মিডিয়াতে তাদের জবাব ঠিকই দিচ্ছে। আজকে শাকিব করছে, কালকে আরও পাঁচটা ছেলে ওখানে কাজ করবে। আজকে জয়া, নুসরাত করছে। কালকে আরও পাঁচটা মেয়ে ওখানে কাজ করবে। এটাতো প্রাউডের ব্যাপার।

চালবাজ কলকাতায় মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। দুই দেশে একসাথে মুক্তি না পাওয়ায় আপনার কি আফসোস হচ্ছে না?
আমিতো আমার জায়গা থেকে চাইবো। একই সময়ে রিলিজ হোক। দেশের মানুষও এটাই চাইবে। আজকে বাংলাদেশের একজন হিরোর সিনেমা পশ্চিমবঙ্গে তাদের একটা উৎসবে মুক্তি পেয়েছে। অথচ আমাদের দেশে ছবি আটকানোর চেষ্টা করেছে অনেকে। কতোটা নোংরামীতে চলে গেছে। একটা ভালো সিনেমা বড় সিনেমা রিলিজ করতে হলে যুদ্ধ করতে হয়। মৌন যুদ্ধ করতে হয়। মাসল পাওয়ার চলে আসে। আমি আমার এতো বছরের ক্যারিয়ারে ইন্ডাস্ট্রির এত বাজে অবস্থা কখনো দেখিনি। ইন্ডাস্ট্রির অনেক রকম উত্থান পতন দেখেছি কিন্তু এত রকম বাজে সিচ্যুয়েশন আগে কখনো দেখিনি। এদের উদ্দেশ্য আসলে কি আমি নিজেও বুঝি না।

চালবাজ কি কারণে দর্শক দেখবে?
ছবিটি দেখার পর বলবে কেনো দেখলাম চালবাজ। আবারও কেনো দেখব চালবাজ। এটা পুরোপুরি বিনোদনধর্মী ছবি। দর্শকদের বিনোদন দেবে। ছবিটি দেখে দর্শক খুব আনন্দিত হবে।

আপনি মান্না ও রিয়াজের সাথে একই সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কিন্তু আপনার অভিনীত কোনো সিনেমায় অন্য নায়কদের দেখা যায় না। এই বিষয়টা নিয়ে মিডিয়াঙ্গণে একটু নেতিবাচক আলোচনা হয়-
যারা আছে তাদেরকে নিয়ে কাজ করতে চাইলেওতো তারা কাজ করে না। আজকে যদি বলা হয় এই ছবিতে শাকিবের সাথে প্যারালাল একটা ক্যারেক্টার আছে অফার করলে করতে চাইবে না। আমি যেমন অনেক ছবিতে প্যারালাল চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার স্বপ্ন তুমি ছবিতে ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে কাজ করেছিলাম, শাবনূর ছিলো। কিন্তু এই ছবিতে শাকিব সবার দৃষ্টি কেড়েছিল। সেজন্য আমাকে কিন্তু রিস্কও নিতে হয়েছিল। আত্নবিশ্বাসী হতে হবে।

এই ইন্ডাস্ট্রি আপনাকে সুপারস্টার বানিয়েছে। এখন এই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আপনার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে কি করতে চান?
আমিতো অনেক কিছু করতে চাই। এতো বাধা বিঘ্ন প্রতিনিয়ত পাচ্ছি সেখান থেকে করতে চাইলেও করা হয়ে ওঠে না। আমি একজন অভিনেতা। আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করবো এটাই স্বাভাবিক। আমি অভিনয়ও করবো আবার আমার ছবি মুক্তি পাবে না ব্লক দেয়ার চেষ্টা করবে। সেটা নিয়ে আমাকে মাথা ঘাঁমাতে হবে, আমাকে ১০ জায়গায় দৌঁড়াতে হবে আমি কাজটা করবো মন নিয়ে কখন। আমিতো ভালো সিনেমায় কাজ করছি সবাই প্রশংসা করছে। এমন যদি হতো আমি খারাপ ও অশ্লীল ছবি করছি যেটা দিয়ে সমাজ ধ্বংস হচ্ছে তখন একটা বিষয় থাকতো। যেখানে দেশের মানুষ, তরুণ সমাজ আমার সিনেমা দেখতে চাচ্ছে উচ্ছ্বসিত ভাবে দেখতে চাইছে। তারা স্যোশাল মিডিয়াতে আন্দোলন করছে যার যার জায়গা থেকে। এটাতো তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।ভালো সিনেমা হলে তরুণদের হলমুখী করছে।
এ এম বি । পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)