রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওআইসির প্রতিনিধিরা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:৩৭ এএম, ৪ মে ২০১৮

রোহিঙ্গা ক্যাম্পঢাকায় দুই দিনব্যাপী ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৪৫তম সম্মেলন উপলক্ষে দেশগুলোর প্রতিনিধিরা শুক্রবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন।

আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছান ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট এ সংস্থাটির ৪০ মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রীসহ ৭০ জনের প্রতিনিধিদল। সকাল ৯টায় কলাতলীর লংবিচ হোটেলে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বৈঠক রয়েছে।

বৈঠকে মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে। এর পর সকাল সাড়ে ১০টায় তারা কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছে কয়েকটি দলে ক্যাম্প পরিদর্শন করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় কুতুপালং ডি ব্লকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার কথা রয়েছে। দুপুরে পুলিশলাইন মসজিদে জুমার নামাজ শেষে লংবিচ হোটেলে অবস্থান নেবে প্রতিনিধিদল। বেলা সাড়ে ৩টায় বিমানযোগে তারা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

ওআইসি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

কাল শনিবার শুরু হচ্ছে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এবারের ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হল- টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের জন্য ইসলামি মূল্যবোধ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এ আয়োজনে ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, ওআইসি প্রতিষ্ঠানগুলো ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ সাড়ে পাঁচশর বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।

৪০ মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রী এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী এক বছর ‘কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্স’র (সিএফএম) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।

ঢাকায় সিএফএম বৈঠকে যেসব বিষয় গুরুত্ব পাবে সেগুলো হল- মুসলিম বিশ্বের সংঘাত ও চ্যালেঞ্জগুলো, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যে ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে, কিভাবে সেগুলোর সমাধান করা যায়, বিশ্বব্যাপী যে ইসলামোফোবিয়া তৈরি হয়েছে তা দূরীকরণের উপায় যথাসভ্যতা ও সংস্কৃতির আন্তঃসংলাপ, মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করা প্রভৃতি।(সূত্রঃ যুগান্তর)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩ মে

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)