রোজা রাখলে স্বাস্থের যেসব উপকার সাধিত হয়

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১২:৫২ এএম, ৮ মে ২০১৮ | আপডেট: ০১:৫১ পিএম, ১৩ মে ২০১৮

রোজা রাখলে স্বাস্ব্যের যেসব উপকার সাধিত হয়
অনেকে মনে করেন লম্বা সময় ধরে রোজা থেকে না খেয়ে থাকা শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বিশেষ করে এই গরমের দিনের প্রায় ১৫ ঘণ্টার মতো পানিও পান করে না থাকার ক্ষতিকর দিন নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। কিন্তু সত্যি কি জানেন? রোজা রাখার উপকার কতো বেশি। জেনে নিন রোজা রাখা দারুণ সব স্বাস্থ্য উপকারিতা।

১) ওজন কমাতে সাহায্য করে:
সাধারনত যখন হাতের কাছে খাবার থাকে এবং বিধি নিষেধ থাকে না তখন ডায়েটের চিন্তা অনেকেই মাথায় আনতে পারেন না, অর্থাৎ ওজনটাও কমে না। এই সাথে বাড়তে থাকে ওজন সংক্রান্ত রোগ বৃদ্ধির ঝুঁকি। কিন্তু রোজার সময় খাবারে একটু বিধি নিষেধ থাকে বলে নিজের ওজনটাও এই ফাঁকে কমিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। দেহের ফ্যাট কাটে এই রোজার মাসে।

২) দেহ থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে:
রোজা রাখার ফলে দেহের ফ্যাট ক্ষয় হয়। এবং এই ফ্যাটের সাথে থাকা ক্ষতিকর টক্সিনও ফ্যাটের পাশাপাশি দূর হয়ে যায় দেহ থেকে।

৩) ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারী :
অনেকেই মনে করতে পারেন ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য রোজা রাখা উচিত নয়। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল। রোজার মাসেই বরং খাবার নিয়ন্ত্রণ করে বেশি চলা সম্ভব হয় যার ফলে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিক থাকে দেহ।

৪) পরিপাকতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে:
রোজা রাখা সময়টাতে সর্বক্ষণ চলতে থাকা পরিপাকতন্ত্রটি একটু হলেও বিশ্রাম পায়। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন পুরো দিন রোজা রেখে একসাথে অনেক খাবার খেয়ে ফেলবেন না যেনো।

৫) উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে:
রোজা রাখার সময় আপনাআপনিই দেহের রক্তচাপ কমে আসে। এতে করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা অনেকটাই ভালো থাকেন রোজার সময়ে। তবে রক্তচাপ কম বলে অতিরিক্ত কোলেস্টোরলযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। এই ব্যাপারে নজর দিন।

৬) ধূমপান ও মদ্যপানের খারাপ অভ্যাস দূর করতে সহায়তা করে :
পুরো একটি মাস যদি রোজা রাখতে পারেন তাহলে আপনার প্রতিদিনের ধূমপান বা মদ্যপানের রুটিনে একটু হলেও ভাটা পড়ে আসবে। এতে করে চাইলে আপনি রোজার মধ্যেই এই বাজে অভ্যাসটা দূর করে নিতে পারবেন।

৭) স্বাস্থ্য ঠিক রাখে:
অনেকেই রোজার সময়েই বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে যান, সারাদিন রোজা থাকতে হবে বলেই সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানি পান করে নেন। আবার রোজা রাখা হয় বলে বাইরের ফাস্টফুডও বেশ কম খাওয়া হয়, এতে করে দেহ অনেকটাই সুস্থ থাকে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)