জার্মানিতে মদের বোতলে কালিমাতুত তাওহিদঃ বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ১৩ মে ২০১৮

জার্মানিতে মদের বোতলে কালিমাতুত তাওহিদ
পাথরঘাটা নিউজঃ জার্মানিতে বিয়ারের বোতলের সিপি করা হয়েছে কালিমাখচিত সৌদি পতাকা দিয়ে। মুসলমানদের কালেমার অবমাননা করায় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুসলমানরা।
সৌদি গ্যাজেট জানায়, বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য জার্মানের ‘ইচবাম’ মদের কোম্পানি তাদের বোতলের সিপির উপরে ‘কালিমাতুত তাওহিদ; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ খচিত সৌদির পতাকার সিল যুক্ত করেছে।
বার্লিনের সৌদি দূতাবাসও জার্মানির ওই কোম্পানির নিন্দা করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সৌদির পাতাকা ও কালিমাতুত তাওহিদকে অবজ্ঞা করার কারণে কোম্পানির যথাযথ শাস্তি দিতে হবে। এর পরই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পরলে বিতর্কের ঝড় ওঠে। বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা ক্ষোভ প্রকাশ করে স্যোশাল মিডিয়ায়।
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী ওই পণ্যটি বর্জনের আহ্বানও জানানো হচ্ছে টুইটারে। অনেকে আবার এ গর্হিত কাজের জন্য জার্মান সরকারকে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে আহ্বান জানায়।
সৌদি আরবের আবু উইন নামের এক ব্যক্তি টুইট করে বলেন, ইসলামের বিধান অনুযায়ী মদ কবিরা বা বড় গুনাহগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ মদের বোতলে সৌদির পতাকা ও কালিমাতুত তাওহিদ ব্যবহার করা ইসলামের অবমাননা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই সৌদি সরকার যেনো ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এভাবে অনেক মানুষ স্যোশাল মিডিয়ায় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে একজন জার্মান নারী টুইট করে বলেছেন, আগামী বিশ্বকাপের উদ্বোধনে ৩২টি দেশের পতাকা ব্যবহার করা হবে। আর সে উপলক্ষ্যে এ ৩২ দেশের পতাকা ওই কোম্পানি তাদের পণ্যে ব্যবহার করেছে। ৩২ দেশের মধ্যে একটি সৌদি আরব। তাদের পতাকাও ছেপেছে তাদের পণ্যে। তা নিয়ে অসন্তোষ কাম্য নয়।
আবদুল্লাহ আল-আমের টুইট করেছেন, ইসলাম অবমাননার দায়ে জার্মান কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এছাড়াও আরো কয়েকজনের টুইটবার্তা প্রকাশ করে সৌদি গ্যাজেট।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের পর বিষয়টি নিয়ে সৌদি দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে জার্মান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)