চরফ্যাসনে প্রকাশ্যে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০১:২৩ এএম, ৭ জুন ২০১৮

ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাসন মাদ্রাজ ইউনিয়নে রুমা বেগম (২৫) নামের এক নারীকে গাছের সাথে বেঁধে স্বামী ও তার পরিবারের অমানবিক নির্যাতনের করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৬ জুন) নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
রুমা, ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার
অভিযুক্তরা হলেন, রুমা বেগমের শশুর ছালাউদ্দিন বেপারি ও মোশারেফ হোসেন সিকদার।

এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে চর-নাজিম উদ্দিন গ্রামের ছালাউদ্দিন বেপারির ছেলের মো. সোহেলের সঙ্গে রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় রুমাকে নির্যাতন করে স্বামী, শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে রুমা নারী ও শিশূ নির্যাতন মামলা করেন।

সেই মামলা প্রত্যাহার করতে বুধবার দুপর ১২টায় গাছের সাথে বেঁধে প্রকাশ্যে অমানবিক নির্যাতন চালায় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে রুমাকে হাত-পা বাঁধা ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

দুই সন্তানের জননী রুমার পিতা মজিবর মাঝি বুধবার সন্ধ্যায় চরফ্যাসন প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদেরকে জানান, সোহেলের সাথে বিয়ের পর থেকেই ব্যবসার জন্য দেড় লাখ টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এই টাকা দিতে না পারায় বিভিন্ন সময় আমার মেয়ের উপর সোহেল ও তার বাবা ছালাউদ্দিন বেপারিসহ পরিবারের লোকজন অমানবিক নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের জন্য আমি দার-দেনা করে ঝামাইকে লক্ষধিক টাকা দিলেও আরও টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে তারা আমার মেয়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালায়।

আটক রুমার স্বামী ও শ্বশুরকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন সন্ধ্যার পর ছেড়ে দেয়। পুলিশের দাবি উভয় পক্ষের সাথে সমঝোতায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ এম বি । পি এন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)