মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনির দাফন সম্পন্ন

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:০৪ এএম, ২৮ মার্চ ২০১৯

মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনির দাফন সম্পন্ন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি নিহত জনি তালুকদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি তালুকদারের লাশ বরিশালে ময়নাতদন্ত শেষে মঠবাড়িয়ার কবুতরখালী গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। বিকাল চারটার দিকে লাশ বাড়ির উঠানে আসলে শোকার্ত গ্রামবাসী ও আ.লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে সমবেত হন। এসময় নিহতর পরিবারের স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

পরে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গুলিসাখালী জিকে ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে। জানাজার আগে সেখানে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। শোকসভায় বক্তব্য দেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আরিফ-উল-হক ও নিহত জনির চাচা স্বপন তালুকদার। শেষে নিহত জনির লাশ গুলিসাখালী বাজার সংলগ্ন বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি হত্যাকান্ডের পর মঠবাড়িয়া আওয়ামীলীগের সকল নেতা কর্মীদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতা ঠেকাতে মঠবাড়িয়ায় মঙ্গলবার থেকে বিজিবি, র‌্যাব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আ.লীগের বিবাদমান দুই পক্ষে হামলা ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি হত্যার ঘটনায় আ.লীগ নেতা কর্মীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। অসংখ্য নেতা কর্মী গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায়ও কিছুটা ভাটা পড়েছে। আগামী ৩১ মার্চ মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায় ভোটারদের মাঝেও শংকা বিরাজ করছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)