পুলিশের কাছে আবেদন করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে চরম হতাশ! মঠবাড়িয়ায় ভূমিদস্যুদের বাধায় জমি চাষ করতে পারেনি ১১ কৃষক

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মঠবাড়িয়ায় ভূমিদস্যুদের বাধায় জমি চাষ করতে পারেনি ১১ কৃষক / ছবিঃ সংগ্রহীতমঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভূমি দস্যুদের বাধায় গোলবুনিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন জলিল সহ ১১ টি কৃষক পরিবার ৬ একর জমি চাষ করতে পারেনি। থানা পুলিশসহ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করে কোন প্রতিকার না পেয়ে চরম হতাশায় ভূগছে কৃষক পরিবার গুলো।

একই এলাকার প্রতিপক্ষ ভূমি দস্যু নুর হোসেন ফরাজী, জামাল ফরাজী, সৈয়দ ফরাজীগং আইন-কানুন ও সালিশ ব্যবস্থার তোয়াক্কা না করে ওই কৃষক পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমি অবৈধ ভাবে পেশী শক্তির বলে চাষাবাদ করতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের হোগলপাতি মৌজার এসএ ১৫৯৯,১৯৩৯ নং খতিয়ানের হাল ৮৩,৮৪, ৬৩২, ৬৪০, ৬৪২, ৬৪৬, ৬৫১, ৬৫২, ৬৫৩, ৬৫৪, ৬৫৬, ৬৫৯, ৬৬০নম্বর দাগের ১৩.৩৪ একর আবাদী জমি ৫৪ ধারার বিধান মতে রের্কডীয় প্রজা পত্তনীয় জমি নিলাম খরিদ সূত্রে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের মৃত্যু রহিম সওদাগারের ছেলে হায়দার আলী নিলামের জমি ১০/৬/১৯৫৩ সালে আদালত যোগে দখল বুঝে নেন।

নিলাম খরিদ্দার হায়দার আলী বরিশাল রেভিনিউ কালেক্টর অফিসের এস,এ,এন্ড টি এ্যাক্ট ৫৪ ধারার বিধান মতে ২৫/৫/৫৯ তারিখের হুকুম মোতাবেক নীজ নামে রের্কড সংশোধন করেন।হায়দার আলী সওদাগরের ওয়ারিশ ও বিভিন্ন দলিল মূলে ক্রয় করে মহিউদ্দিন জলিল, মজিবর,মতিয়ার, আব্দুল মালেক,সাইদুর রহমান, আলী হোসেন, খলিল, শাহ আলম, সায়েদ, আবুল বাসার, আব্দুল খালেক ১৯৫৯ সাল থেকে ৭ একর বাগান বাড়ী ও ৬ একর আবাদী জমি ২০১৮ সাল পর্যন্ত শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখল করে আসছে।

প্রতিপক্ষ ভূমি দস্যুদের বাধায় ওই জমিতে গোলমাল সৃষ্টি করলে মহিউদ্দিন জলিল গংরা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দেন। উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মহিউদ্দিন জলিল গংদের পক্ষে রোয়েদাদ হয়।

প্রতিপক্ষ ভূমি দস্যুরা ওই রোয়েদাদের সিদ্বান্ত উপেক্ষা করে জমি আবাদ করতে ভয় ভীতি প্রদর্শন করায় মহিউদ্দিন জলিল গত ৬/৮/১৯ তারিখ পিরোজপুর পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন ।

পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান অভিযোগ পত্রটি মঠবাড়িয়া থানা ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় ১১টি কৃষক পরিবার ওই জমি চাষাবাদ করতে না পেরে থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

মহিউদ্দিন জলিল জানান, ভূমি দস্যু নুর হোসেন ফরাজী, জামাল ফরাজী, সৈয়দ ফরাজীগং আমাকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রার্থীকে সমর্থন ও ভোট দেয়ার অপরাধে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা জমি চাষাবাদে বাধা দিচ্ছে এবং তাদের জীবন নাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। থানার ওসির কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি।

প্রতিপক্ষ নুর হোসেন ফরাজি জানান,১৩.৩৪ শতাংশ জমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা করেছি।সে কারনে জমি চাষাবাদে বাধা দিয়েছি। তবে তিনি আদালতের কোন কাগজপএ দেখাতে পারেনি।

থানা অফিসার ইন চার্জ (ওসি) সৈয়দ আব্দুল্লাহ জানান, বিষয়টি উভয় পক্ষকে ডেকে নিষ্পওির চেষ্টা করেছি কিন্তু নুর হোসেনগংরা সঠিক কাগজপত্র নিয়ে না আসায় বিষয়টি নিষ্পওি করা সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)