পাথরঘাটায় সপ্তর্ষি সংরক্ষণের দায়িত্ব নিলেন বরগুনার ডিসি

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯

পাথরঘাটায় সপ্তর্ষি সংরক্ষণের দায়িত্ব নিলেন বরগুনার ডিসিমুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে নির্মম নিহত ৭ সাত শহীদের বধ্যভূমি সংরক্ষণের দায়িত্ব নিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া গ্রামের সাত শহীদের বধ্যভূমি শ্রদ্ধাঞ্জলী শেষে তিনি এ দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধের স¦পক্ষের মানুষদের প্রাণহানি হওয়ায় তাদের স্মৃতি চিহ্ন অরক্ষিত ছিল। আমি ইতোপুর্বে অনেক জায়গায় খোজ খবর নিয়েছি। পাথরঘাটা সপ্তার্ষি সংরক্ষণের জন্য আমি দায়িত্ব নিলাম। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ লোকজনকে নির্বিচারে যেসব স্থানে হত্যা করেছিল, সেসব বধ্যভূমিগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণে বধ্যপরিকর তিনি।

১৯৭১ সালের ১০ই অক্টোবর এই দিনে বরগুনার পাথরঘাটার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া শহীদ পরিবারের উপরে বর্বরোচিত পাক হানাদারের অত্যাচার ও গণহত্যার শিকার হয়। হত্যা শেষে একই জায়গায় সাত জনকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। সেদিন পাক হানাদার রাজাকার ও শান্তিকমিটির সহায়তায় গানবোট যোগে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের খুজতে এসে না পেয়ে ব্যাপারী বাড়ি, হাজরা বাড়ি, গাওয়ালী বাড়ি, বালা বাড়ি ও হাওলাদার বাড়ী, চারদিকে থেকে ঘেরাও করে সাতজন নিরীহ মানুষের চোখ বেধে পার্শ্ববর্তী হরের খালে নিয়ে এসে ব্রাস করে হত্যা করে এবং এদের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা হলেন,চন্দ্র কান্ত হাজরা, অশ্বিনী কুমার বালা, লক্ষ্মিকান্ত গয়ালী, নিত্যানন্দ বেপারী, মনোরঞ্জন বেপারী, খিরিশ চন্দ্র বেপারী ও অনন্তু কুমার হালদার। সর্বশেষ পুড়িয়ে দেয় ঘরবাড়ি।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ ডিসে¤¦র স্মরনে ফারিলারা ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্মান করা হয়েছিল স্মৃতিসৌধ। কিন্তু তা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত থাকায় বরগুনা জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ পুনরায় সংরক্ষণের জন্য দায়িত্ব নিলেন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)