পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম খাইরুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৬ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ছবিঃ সংগ্রহীতমঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (মঠবাড়িয়া জোনাল) এজিএম খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, স্বেচ্ছারিতা ও অসাদাচারনে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঠবাড়িয়া অঙ্গন শপিং সিটি ও সৌদি প্রবাসি হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন এজিএম খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অঙ্গন শপিং সিটি’র দ্বিতীয় তলায় ভাড়া দেয়া মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকসহ পূর্ণ ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৬০ কে.ভি বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দেয়। যার জন্য ৬টি সিটিপিটি স্থাপনের প্রয়োজন হয়। সিটিপিটি সম্পর্কে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় মঠবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত এজিএম (কম) মোঃ খাইরুল ইসলাম এর নিকট পরামর্শ চাইলে সে তার নিকট দুই লক্ষ টাকায় সিটিপিটি ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে। খাইরুল ইসলামের প্রস্তাবে রাজি হয়ে মনির হোসেন এক লক্ষ টাকা এ্যাডভান্স করেন। যথাসময়ে সিটিপিটির ব্যবস্থা না করে কালক্ষেপণ করতে থাকে খাইরুল ইসলাম।

এদিকে ৫ জুলই‘১৮ ব্যাংক উদ্বোধনের সময় নির্ধারিত হবার কারনে মনির হোসেন ৩ জুলাই ঢাকা সাভারে পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয় হতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সিটিপিটি সংগ্রহ করে মঠবাড়িয়া এজিএম (কম) খাইরুল ইসলামকে সিটিপিটি সংযোগ প্রদানের জন্য তাগিত দেয়। খাইরুল ইসলাম সংযোগ প্রদান বাবদ আবারও চল্লিশ হাজার টাকা ও ২০ জন শ্রমিককে দু‘বেলা খাবারের দাবি করলে তিনি তার ব্যবস্থা করেন। এবং ০৪ জুলাই সিটিপিটি লাগিয়ে ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়।
পরবর্তীতে এজিএম খাইরুল ইসলামকে সিটিপিটি বাবদ দেয়া এক লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে ১০ হাজার টাকা তার ম্যানেজার ইউসুফ আলীর কাছে ফেরৎ দিয়ে বাকী ৯০ হাজার টাকা পরবর্তীতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। খাইরুল ইসলাম ওয়াদা অনুযায়ী টাকা ফেরৎ না দিয়ে ৬০ কেভিএ লাইনের যথাযথ ব্যবহারের জন্য একটি ক্যাপাসিটর ব্যবহারের পরামর্শ দেয় এবং টাকার পরিবর্তে ঐ ক্যাপাসিটরটি এজিএম খাইরুল তার নিজ দায়িত্বে লাগিয়ে দেয়ার অঙ্গিকার করে।
পরবর্তীতে ঐ ক্যাপাসিটর ও টাকা কোনটিই না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে।

পরে মনির হোসেন নিজ উদ্যোগে বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহারের জন্য কম মূল্যের একটি ক্যাপাসিটর স্থাপন করেন। যা বর্তমানে অকোজ আবস্থায় পরে রয়েছে। এজি এম খাইরুলের নিকট ওই টাকা ফেরত চাইলে ছলচাতুরীর আশ্রয় গ্রহণ করে এবং হাসপাতল সহ তার অন্যান্য স্থাপনায় ব্যবহৃত বিদ্যুৎ লাইন কেঁটে দেয়া ও মানহানী মামলা দেয়ার হুমকি দেয়।

এব্যাপারে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (মঠবাড়িয়া জোনাল) এজিএম খাইরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

জিএম শেখ মোহাম্মদ আলী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)