পাথরঘাটায় পৌর ও ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সদ্য ঘোষিত ৮ কমিটি স্থগিত, পূর্ব কমিটি বহাল

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ৫ মার্চ ২০২১

ছবিঃ সংগ্রহীতবরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনের ৫ মাস পর গত মঙ্গলবার পৌরসভাসহ সাত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ কমিটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় এবং লিখিত অভিযোগ পাওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৪মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের জরুরী সভা থেকে তা স্থগিত করা হয়েছে। সাথে সাথে পূর্ববর্তী কমিটিকে বহাল রাখার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মৃধা।

এর আগে গতকাল বুধবার সকালে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাজাকার পরিবারের সন্তানদের পদ পদবী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার অভিযোগে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানসহ আওয়াম লীগ ও যুবলীগের একাংশের সংবাদ সম্মেলনে করেন।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সূত্রে জানা যায়, গতবছরের অক্টোবর মাসে পাথরঘাটা উপজেলার পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার কমিটি হঠাৎ করেই চলতি মাসের ২ তারিখ ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে তিনজন তালিকা ভুক্ত রাজাকারের সন্তানের নাম রয়েছে। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে জেলেদের চাল আত্মসাতের অভিযোগে বহিস্কৃত চেয়ারম্যানের নাম রয়েছে। এতে করে আ’লীগের আনেক ত্যাগী নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ক্ষোভ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রভাব পরবে বলেও জানান যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম মিরাজ।

জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ্ব জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, নতুন কমিটি সুপারিশের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়েছিল। একই সাথে টাকা পয়সা লেনদেন, রাজাকারের সন্তানকে পদ দেয়া ও ত্যগীদের মূল্যায়ন না করে বিতর্কিত ও অরাজনৈতিকদের পদস্থ করারও লিখিত অভিযোগ এসেছিল। বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষ সভা ডেকে আলোচনা শেষে কমিটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসাথে নতুন করে কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত আগের কমিটিকে দায়িত্ব পালন করবে মর্মেও সিদ্ধান্ত হয়। এসব সিদ্ধান্ত আমরা কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট উপজেলায় চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবো। এছাড়া অতিশীঘ্রই পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ডেকে ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।

নতুন কমিটিতে যাদের সভাপতি সম্পাদক করা হয়েছিল তাঁরা হলেন রায়হানপুরে সভাপতি মাইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ওয়াহিদ মুরাদ, নাচনাপাড়ায় সভাপতি আলমগীর হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ খান, চরদুয়ানীর সভাপতি সুনীল চন্দ্র হালদার ও সাধারণ সম্পাদক ছগির হাওলাদার, পাথরঘাটা সদরের সভাপতি শাহআলম সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম ফকির, কালমেঘায় সভাপতি মতিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাছির, কাকচিড়ায় সভাপতি মো. আলাউদ্দিন পল্টু ও সাধারণ সম্পাদক এম আলম পহলান, কাঠালতলীতে সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন সিকদার এবং পাথরঘাটা পৌর এলাকায় সভাপতি মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন।

কমিটি স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন বলেন, কমিটি স্থগিতের বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনো কোনো কাগজ পাইনি। বিতর্কিতদের কমিটিতে রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরা আগেও কমিটিতে ছিলেন, তখন তো কেউ অভিযোগ করেনি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)