পাথরঘাটায় ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০২২

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজবরগুনার পাথরঘাটায় ফলজ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ইউনুস মল্লিক ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন। এবিষয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার।

এর আগে বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনয়িনের বাদুরতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেলায়েত হোসেনের বাগানের কাঠাল, আম, জাম্বুরা ও বনজসহ প্রায় অর্ধ শতাধীক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ সকল গাছ গুলোতেই বিভিন্ন রকম ফল রয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ফলের বাগানের জমি ক্রয় করতে চেয়েছিল প্রতিবেশী ইউনুস মল্লিক। বেলায়েত হোসেন ওই জমি ইউনুচের কাছে বিক্রি না এ কান্ড ঘটিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদা বেগম, আম্বিয়া বেগম ও লতিফা বেগম জানান, কিছুদিন আগে ইউনুচ মল্লিক তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম এবং তাদেও ছেলেদেরকে নিয়ে তার ঘরের সামনে অন্যর জমির কিছু গাছ কাটে। তখন থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে গাছ কাটতে নিষেধ করেন। এর কয়েকদিন পওে গত বুধবার দুপুরের সময় আবারো এসে তারা আম, কাঠাল, জাম্বুরাসহ বিভিন্ন রকমের ফলের গাছ কেটে ফেলে। পরে শুনেছি তাদের গাছ কেটে উল্টো তাদের দোষ দিচ্ছেন ইউনুচ ও তার ছেলেরা। তারা আরো জানান, গাছ কাটার পরে বেলায়েত হোসেনকে ফাসাতে ইউনুচের ছেলে সোহরাব হোসেনের মাথায় ব্লেড দিয়ে আঘাত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন্

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. সোহরাব হোসেন জানান, এই জমির গাছগুলো আক্রশ মুলক ভাবে কেটেছে। প্রত্যেকটি গাছের মধ্যখান থেকে কেটেছে, বিষয়টি দু:খজনক। তাছাড়া ইউনুচ মল্লিকের ছেলেদের উশৃংখলতায় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তিনি আরো জানান, গাছগুলো কাটার পরে অভিযুক্ত ইউনুচ মল্লিকের স্ত্রী ফিরোজা বেগম তার ছেলের সোহরাব হোসেনের মাথায় ব্লেড দিয়ে আঘাত করে স্বাস্থ্য কমপোলক্সে ভর্তি হয়েছে বেলায়েত হোসেনকে ফাঁসানোর জন্য।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইউনুচ মল্লিকের ছেলে কবির হোসনের জানান, আমরা একটি গাছ কেটেছি এবং বাকি গাছগুলো তারা কেটে আমাদেরকে দোষ দিচ্ছে। মাথায় বেল্ড দিয়ে আঘাত করে ফাসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, এরকম একটি বিষয় নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)