পাথরঘাটায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, বাধা দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা চাচী সহ আহত ২

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৯ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২২

পাথরঘাটায় কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, বাধা দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা চাচী সহ আহত ২বরগুনার পাথরঘাটায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে মামলা করেও রেহাই পাচ্ছে না এক কলেজ ছাত্রী ও তার পরিবার। মামলার জেরে শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত পাথরঘাটা উপজেলা কালমেঘা ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সোবহান সিকদারের ছেলে ইমরান (২৫) ও তার সহযোগী মৃত নূর নবীর ছেলে আউয়াল (২৫) ও সেলিম মিয়ার ছেলে মামুন (২৪)। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী একই এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ বরগুনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী জানান গত বছর এসএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট কাগজ জমা দিতে কে.কে. আজিজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ইমরান। এতে আমি সায় না দিলে বিভিন্ন সময়ে আমাকে কু প্রস্তাব দেয় এবং পথ রোধ করে অশ্লীল আচরণ করে ও ছবি তোলে। গত বছর জুলাই মাসের ২০ তারিখ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার ওড়না টেনে নিয়ে গিয়ে স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। মানসম্মানের ভয়ে বিষয়টি আমার বাবাকে জানালে তিনি ইমরানের পরিবারকে অবহিত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমরান তার সহযোগী আউয়াল ও মামুন কে নিয়ে আরো বেশি উত্ত্যক্ত করে।

ভুক্তভোগীর বাবা রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তার পরামর্শে গত বছর বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করি। এরপর আমার মেয়েকে কলেজ থেকে তুলে নিয়ে যাবে এবং এসিড নিক্ষেপ করার হুমকি দিলে বিষয়টি লিখিত ভাবে পাথরঘাটা কলেজের অধ্যক্ষকে অবহিত করি। সবশেষ শনিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে একা পেয়ে আমার মেয়েকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে ইমরান, মামুন ও আউয়াল। এতে বাধা দিলে আমার ছোট ভাই শাহরুনকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী উর্মিকে পেটে লাথি মেরে আহত করে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর গলায় গামছা জড়িয়ে টানা হেছরা করায় চামড়া উঠে গেছে। শাহরুনের মাথায় দশটি শেলাই লেগেছে। এছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে দুই ঘণ্টা অক্সিজেনের মাধ্যমে সুস্থ করা হয়েছে। তবে গর্ভের সন্তান ঝুঁকি পুর্ন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আউয়াল ও মামুন খানের কাছে জানতে চাইলে তারা মারধরের কথা স্বীকর করে মুঠোফোনে জানান, তাদের সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে সেই ঘটনা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তবে কলেজ ছাত্রীকে আপহরনের বিষয়টি আস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল বাশার জানান, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। লিখিত কোন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)