পাথরঘাটায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ২ শিক্ষকের জাল সার্টিফিকেটে চাকরি

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ২৩ মে ২০২৩

ছবিঃ সংগ্রহীতবরগুনার পাথরঘাটায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২ শিক্ষক জাল সার্টিফিকেট দিয়ে জালিয়েতি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তারা হলেন, পাথরঘাটা উপজেলার সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজের শিরিন আক্তার ও হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মো. রুহুল আমিন। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাতের প্রমান পাওয়া গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব (অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা) মো. সেলিম শিকদার স্বাক্ষরিত একটি আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শিরীন আক্তার ও হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ধর্মীয় শিক্ষক মো. রুহুল আমিনসহ সারাদেশে ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জাল সনদ সনাক্ত করেছে। যা গত ৮ ফেব্রুয়ারি সনদ প্রদানকারী দপ্তর প্রধান-প্রতিনিধি সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণের সনদের সত্যতা যাচাই করে ৬৭৮ জনের জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাথরঘাটার মো. রুহুল আমিন ও শিরিন আক্তার রয়েছেন।

এদিকে জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকুরীচ্যুত করা এবং অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরৎ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসরের সুবিধা প্রাপ্তি বাতিল করা ও যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা-কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা অনুযায়ী জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ফৌজদারী অপরাধের মামলা দায়ের এবং জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জাল সনদধারী হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর ধর্মীয় শিক্ষক রুহুল আমিনের কাছে জানতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে নম্বরে (০১৭৩২৭৭৪৬২৬) একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা মিলন জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা জেলা মাধ্যমও শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আগে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি/সম্পাদক শিক্ষক নিয়োগ দিতো হয়তো তখন তারা তাদেরমতো করে দিয়েছে। বর্তমান সময়ে এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয় তাই এরকম করা সম্ভব না।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)