মৃগী রোগ কেন হয়? যেনে রাখুন কাজে লাগবে….

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ৯ মে ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৪ এএম, ৯ মে ২০১৮

প্রতীকী ছবি
সাস্থ্য ডেস্কঃ মৃগী বা এপিলেপসি একটি জটিল রোগ। মৃগী রোগ কেন হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৮১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ ওয়াহিদুর রহমান। বর্তমানে তিনি ডেলটা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : একজন শিশু মৃগী রোগে আক্রান্ত হয় কেন? মৃগী কি নিউরোলজিক্যাল ডিজ অর্ডার, না কি মেন্টাল ডিজ অর্ডার?

উত্তর : মৃগী রোগ নিউরোলজিক্যাল ডিজ অর্ডার। এটা শারীরিক অসুখ। এটা মানসিক অসুখ নয়। এই কথাটা একদম পরিষ্কার। এখানে কোনো আর দ্বিমত নেই। এখন নিউরোলজিক্যাল ডিজ অর্ডারে ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ কারণ অজানা। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ইডিওপ্যাথিক। জানা যায় না। ১৫ থেকে ২০ ভাগ ক্ষেত্রে জানা গেছে। জানা যায়নি যেটি একেই প্রাইমারি এপিলেপসি বলা হয়। সেকেন্ডারি এপিলেপসি যেটা রয়েছে, সেটি মস্তিষ্কের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। টিউমারের কারণে হতে পারে। ড্রাগস ও টক্সিনের কারণে হতে পারে। এরপর ড্রাগ বন্ধ করার কারণে হতে পারে। কোনো কারণে হয়তো তার মস্তিষ্কের ভেতর জন্মগত ত্রুটি থাকে, সেসব কারণে হতে পারে। আর একটি কথা গুরুত্বপূর্ণ,  জ্বর হলে বাচ্চাদের অনেক সময় খিঁচুনি হয়, এদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ অনেক সময় মৃগী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আবার অনেকেরই আর হয় না। অনেকেরতো জ্বর থেকে মেনিনজাইটিস হয়ে খিঁচুনির সমস্যা হতে পারে। এটা হলো সেকেন্ডারি এপিলেপসি। সেকেন্ডারি কারণে হয়। জ্বর হলে ইনফেকশন, ম্যানিনজাইটিস হলে যখন ভালো হয়ে যায়, তখন এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে যায়। মস্তিষ্কের ভেতর যে দাগ থেকে গেলে, সেটা পরে মৃগী রোগ করতে পারে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)