যে তারকাদের পুড়ল ঘর

মুনা জাহান
মুনা জাহান, বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৪৫ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

ছবিঃ সংগ্রহীতএকজন নারী-পুরুষের আজীবন একসঙ্গে থাকার ইচ্ছেটাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার চূড়ান্ত পরিনতি বিয়ে। আর একসঙ্গে না থাকার ইচ্ছার যে চূড়ান্ত রূপ তা হলো ডিভোর্স বা তালাক। গত বছর দেশীয় শোবিজ অঙ্গনে ডিভোর্সে উত্তাল থাকলেও এ বছরে তেমন ডিভোর্সের খবর পাওয়া যায়নি।

যে কজন তারকাদের এ বছর ডিভোর্স হয়েছে, তা হাতে গোনা। নতুন বছরের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নানা হিসেব-নিকেশের অংশ হিসেবে চলতি বছরে এসব তারকাদের ‘বেদনা গাঁথা’ ডিভোর্সের গল্প তুলে ধরা হলো-

বাপ্পা মুজমদার-চাঁদনী
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও মেহবুবা মাহনুর চাঁদনী ২০০৮ সালের ২১ মার্চ ধানমন্ডির একটি রেস্টুরেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান হয়। তারা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের হওয়ার কারণে বাগদানের আগেই বাপ্পা ধর্মান্তরিত হয়ে আহমেদ বাপ্পা মজুমদার হন। সে সময় দুই পরিবারের সম্মতিতেই এই বাগদান সম্পন্ন হয়। পরে তাদের দুই পরিবার একসঙ্গে হয়ে ঘরোয়াভাবে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।

তবে এ বছরই ভেঙ্গে গেছে তাদের সাজানো সংসার। প্রেম-ভালোবাসায় বুঁদ হয়েই এক ছাদের নিচে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু বিচ্ছেদের ঘুণপোকা চূড়ান্তভাবে খেয়ে দিয়েছে তাদের ভালোবাসার স্তম্ভ।

ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী- খোরশেদ আলম
চলতি বছর অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তীকে তালাকের নোটিশ পাঠান তার স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। গত ৭ মে বগুড়া সদরে শ্রাবন্তীর বাবার বাসার ঠিকানায় এই নোটিশ পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন শ্রাবন্তী। যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই স্বামীর পাঠানো তালাক নোটিশের খবর পান তিনি। এরপর গত ২৫ জুন দেশে ফেরেন এই অভিনেত্রী। দেশে ফিরে স্বামী খোরশেদ আলমের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেন শ্রাবন্তী। কিন্তু বারবারই ব্যর্থ হন তিনি।

শ্রাবন্তীর স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২০১০ সালে তারা বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দু’সন্তান বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স সাত বছর, আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে তিন বছর।

তাসনুভা তিশা-ফারজানুল হক
এ বছরে সংসার ভেঙেছে মডেল ও অভিনেত্রী তাসনুভা তিশার। গত ২১ মে ফারজানুল হকের সঙ্গে তার বিয়ে বিচ্ছেদের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিশা-ফারজানুল ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তারা বিয়ের খবর প্রকাশ করেন ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। চার বছরের মাথায় তাদের ঘর টিকলো না। তাদের ঘরে আনুশ নামের একজন পুত্র সন্তান রয়েছে।

ফারজানুলের সঙ্গে তিশার এটি ছিলো দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। সে ঘরে ঐশী নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

নাদিয়া আফরিন মিম-সাফায়াত আলী
লাক্স তারকা নাদিয়া আফরিন মিম ও সাফায়াত আলীর সংসার ভেঙেছে এ বছরই। গত মে মাসের শেষদিকে তাদের বিচ্ছেদ কার্যকর হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল ভালোবেসেই চুপিসারে বিয়ে করেছিলেন সাফায়াত-মিম। শুরুতে বিয়ের খবর গোপন রাখলেও কিছুদিন পর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মিম। সাফায়াত আলী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই।

ইশরাত জাহান চৈতি-শাওন রয় যুবরাজ
সম্প্রতি সংসার ভেঙেছে আরেক লাক্স তারকা ইশরাত জাহান চৈতির। এই সুন্দরী ভালোবেসেই বিয়ে করেন শাওন রয় যুবরাজকে। শাওন পেশায় ব্যবসায়ী ও গ্রাফিক ডিজাইনার। তারা তিন বছর সংসার করার পর চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

তারা ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এর আগে ওই বছরের ৬ আগস্ট রাজধানীর শান্তিনগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৬ ডিসেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)