জমি নিয়ে বিরোধ পাথরঘাটায় সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

জমি নিয়ে বিরোধ পাথরঘাটায় সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত
বরগুনার পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার পাথরঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন খানকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

আপরদিকে জাকির খানের চাচাত ভাই কাদেরের অভিযোগ উল্টো তারা তার বৃদ্ধ বাবা আব্দুর রহমানকে মাটিতে ফেলে মারধর করেছে জাকির খান ও তার ভাইয়েরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। জাকিরকে পাথরঘাটা উপজেলা সাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

আহত সাংবাদিক জাকির হোসেন জানান, তার চাচাতো ভাই পৌর শহরের জুতা ব্যবসায়ী আ. কাদের খানের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ ওই বিরোধীয় জমিতে কাজ করার সময় তার ভাই হায়দার খান ও ইলিয়াছ খান বাঁধা দেয়। এ সময় সাংবাদিক জাকির ছবি তুলতে গেলে কাদেরের বোন জামাই রিয়াজ শাবল দিয়ে মাথায় পিটান দিলে গুরুতর আহত হয়। এতে তার মাথায় ৭টি সেলাই দেয়া হয়। এ সময় ভাইকে রক্ষা করতে গেলে হায়দার খান, ইলিয়াছ খান ও নুরুল আলম খানকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

পাথরঘাটা উপজেলা সাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. জিয়াউল হক বলেন, রোগির মাথা ফেটে গেছে এবং আঘাত রয়েছে। এছাড়া বুকেও আঘাত দেখা গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয় অভিযুক্ত জাকির খানের চাচাতো ভাই আ. কাদের খান বলেন, সকাল ১১ টার দিকে হায়দার, ইলিয়াস , জাকির হোসেন, নুরুল আলম আমাদের বাড়ির সামনে আমাদের জমির ওপর থেকে মাটি কাটার সময় আমার বাবা আব্দুর রহমান বাধা দেন।

মাটি কাটতে বাঁধা দেন তাদের চাচা ও জমির মালিক আব্দুর রহমান। সে বাধা দেওয়ার কারনে আব্দুর রহমানকে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার মাথা ধরে মাটির সাথে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আমিসহ আমার অন্য ভাই ও বোন, সোনা মিয়া, হাবিব ও মেয়ে মাহমুদা তার পৈতৃক সম্পত্তির মাটি কাটার কারণ ও তার বাবাকে মারার কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ধরাধরি হলে জাকির হোসেন পার্শ্ববর্তী টিনের ও কাঁটাতারের পরে গিয়ে জখম হয়।

আবদুল কাদের আরও অভিযোগ করেন জাকির খান, হায়দার, নূরুল আলম, ইলিয়াস আলীর হামলায় আমার বাবা আব্দুর রহমান বড় ভাই হাবিব ও বোন মাহমুদা গুরুতর আহত হন। তারা পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ব্যপারে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ শিকদার বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই হাসপাতালে গিয়েছি এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দেয়ার সাথে সাথেই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আসামীকে আটক করা হবে।

পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ বলেন, বিষয়টির প্রতি আমরা নিন্দাজ্ঞাপন করছি এটি দুঃখজনক। আহত অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)