৬৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩জন জিপিএ-৫ পেয়েছে! মঠবাড়িয়ায় জালিয়াতি করে ইবতেদায়ী শিক্ষা বৃত্তি লাভ; তদন্তে দুদক

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মঠবাড়িয়ায় জালিয়াতি করে ইবতেদায়ী শিক্ষা বৃত্তি লাভ; তদন্তে দুদকমঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের টিকিকাটা আঃ ওহাব বালিকা আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিনব কায়দায় জাতিয়াতির মাধ্যমে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ফলাফলে শতভাগ বৃত্তি লাভের অভিযোগ ওঠছে।

এ বিষয়ে উপজেলার ছালেহিয়া পশ্চিম ছোট মাছুয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মনিরুল ইসলাম সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পক্ষে এই জালিয়াতি তদন্তে দূর্ণীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে (কেস নং ৫৬/২০১৯) বরিশালের দুর্ণীতি দমন কমিশনের পরিচালক, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে অনুলিপি প্রেরণ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে গত ২০১৮ সনের ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় টিকিকাটা আঃ ওহাব বালিকা আলিম মাদ্রাসা থেকে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বেলায়েত হোসেন ও সহকারী মৌলভী আঃ হালিমের জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফলে ৬৩জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি লাভ করে। এতে অন্যান্য মাদ্রাসার কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয় এবং একই মাদ্রাসার এই ফলাফলে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে।

ওই অভিযোগে আরও বলা হয় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সহকারী মৌলভী তাদের মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রের সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করে প্রধান পরীক্ষক উত্তরপত্র পরীক্ষণ করার সময় সন্ধ্যা পর্যন্ত উত্তরপত্র ও নম্বর ফর্দ তাদের কাছে ছিল। এ সময় প্রধান পরীক্ষকের সহযোগিতায় উত্তরপত্রের নম্বর ফর্দ অসাদুপায় অবলম্বন করে এবং টাকার বিনিময়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় ৬৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩জন পরীক্ষার্থীকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দেন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ৫৬ নং মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজী উত্তরপত্রে একজন পরীক্ষকের নম্বর ফর্দে ১০ জন ছাত্র-ছাত্রীর যে নম্বর আছে তার চেয়ে কম্পিউটারকৃত মার্কশীটে বেশী নম্বর দিয়ে জিপিএ-৫ প্রদান করেছে।

এ বিষয়ে টিকিকাটা আব্দুল ওহাব বালিকা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা বেলায়েত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে বৃত্তি লাভ করে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিএম সরফরাজ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)