ঘুর্ণিঝড় বুলবুল দুর্বল হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯

দুর্বল হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে বুলবুলদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার। ঘণ্টায় ৫ থেকে ৮ কিলোমিটার বেগে এগুচ্ছে বুলবুল। জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। আজও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি থাকবে। সোমবার দুপুর নাগাদ আবহাওয়া স্বভাবিক হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর

বুলবুলের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে দু’জনের প্রাণহানি ঘটালেও বাংলাদেশে তেমন একটা জোরদার আঘাত হানতে পারেনি। বেশ নিস্তেজ হয়ে রাত ২টার দিকে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে বুলবুল। এর প্রভাবে ভোলাসহ কয়েকটি জেলায় কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে ২০ জনের মতো। ভোর ৫টায় উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়।

আবহাওয়াবিদরা এও জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ত্রিপুরার দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের দুর্গত ১৫ জেলায় ১ হাজার ৫৭৭টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়াও দুর্গত এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। ঝড়পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপকূলীয় সব জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধার ও পরবর্তী সেবার জন্য মোতায়েন রয়েছে করা হয়েছে নৌবাহিনীর ১০টি জাহাজ। আরও ১৭টি জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে বলে আইএসপিআর-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার ছিলো, যেটি কমে ৮ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন হয়।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এখনও ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ (নয়) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার উপকূলকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)