প্রতিবাদ করায় দুই ছাত্রকে মারধর, হাত কেটে ফেলার হুমকি পাথরঘাটায় ছাত্রীকে বখাটের এসিড নিক্ষেপের হুমকির ঘটনায় পুলিশের স্কুল পরিদর্শন (ভিডিও সহ)

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ০৭:৫৭ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০


উত্ত্যক্ত করা এবং প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হলে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার হুমকি দেওয়ায় বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এনআইখান রেসিডেন্সিয়াল পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এছাড়া উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মো.কাইফি ও মো. ইমন নামে দুই ছাত্রকে একাধিকবার মারধর করে এবং হাত কেটে ফেলার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান বেল্লাল, সৈকত ও রুবেল ওরফের কালা রুবেল।

এঘটনায় মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সাইদ আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি দল। এন.আই খান রেসিডেন্সিয়াল পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে না পেয়ে তার বাড়িতে যান পুলিশ কর্মকর্তা। বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জবানবন্দিতে প্রাথমিকভাবে বখাটেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়টি কঠোরভাবে দেখবেন বলে জানান তদন্ত ওসি মো. সাইদ আমম্মেদ।

এর আগে গত শনিবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ওই ছাত্রীকে সর্বশেষ সময় বেঁধে দিয়ে এ হুমকি দেয় ওই বখাটেরা। সেদিন থেকেই বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয় ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান সৈকত আওয়ামী প্রজন্ম লীগের পাথরঘাটা পৌর শাখার সভাপতি। গত রোববার রাতে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মো. কাইফি ও ইমনকে মারধরের কারণ জানতে গেলে কাইফির বাবা কাকন মোল্লাকে অপমান করে বখাটেরা।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) মো. সাইদ আহমেদ বলেন, বিদ্যালয় থেকে আমাদেরকে এতোদিন জানানো হয়নি। আমরা গণমাধ্যমে দেখে ঘটনাস্থলে এসেছি। এরকমের অপরাধ করলে আইনের ফাঁক দিয়ে এড়াতে পারবে না। তিনি আরও জানান, আমাদের টিম এলাকায় কাজ করেছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)