বরগুনার পাথরঘাটায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে মনোনয়পত্র জমাদানে প্রধান শিক্ষিকার বাঁধা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২০

পাথরঘাটায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে মনোনয়পত্র জমাদানে প্রধান শিক্ষিকার বাঁধা

বরগুনার পাথরঘাটা পৌর এলাকার সুবর্ণা বড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে মো. তানভীর আহম্মেদের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. নূরুন্নাহারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকের।

সুবর্ণা বড়ইতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক শ্রেণির সদস্য ও একমাত্র সভাপতি প্রার্থী মো. তানভীর আহম্মেদ বলেন, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক মোসা. নুরুন্নাহার নিজে বাধা দেন। একই সঙ্গে মনোনয়ন পত্র লেখার জমা দেয়ার রেজুলেশন খাতাও আলমীরায় আটকে রেখে বিলম্ব করেন তিনি। এতে ওই নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বশির উদ্দিনকে রেজুলেশন লেখায় গরিমশি করেন প্রধান শিক্ষক মোসা. নুরুন্নাহার।

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. বশির উদ্দিন বলেন, আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সভাপতি পদে তানভীর আহম্মেদ নামে একটি ও সহসভাপতি পদে বিথী আক্তার নামের একটি মনোনয়পত্র জমা পড়েছে। আগামিকাল বুধবার বাছাই শেষে পরবর্তী কার্যক্রম শেষ করা হবে। তাছাড়া নিয়ম মেনেই নির্বাচন পরিচালনা করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুবর্ণা বড়ইতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ২৭ অক্টোবর। ওই তফসিল অনুযায়ী গত ১৫ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ দিন। একই সঙ্গে মনোনয়পত্র জমার শেষ দিন ছিল ১৭ নভেম্বর। কিন্তু মনোনয়নপত্র ক্রয়ের দিন থেকেই প্রধান শিক্ষক মোসা. নুরুন্নাহার স্থানীয় অপর এক ব্যক্তিকে প্রার্থী করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত রেজুলেশন খাতা দিতে বাধ্য হন প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার।

অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষিক মোসা. নুরুন্নাহার বলেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে অপর একজন প্রার্থী অংশ নিতে ইচ্ছুক ছিলেন। তাই বিলম্ব করা হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম হায়দার বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি, তবে ওই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)