ভয়াবহ শিরকের গোনাহ থেকে মুক্তির উপায়

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ছবিঃ সংগ্রহীতআল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করতে বহু আয়াতে নিষেধ করা হয়েছে। শিরক অনেক ভয়াবহ ও মরাত্মক অপরাধ। কুরআনুল কারিমে ঘোষণায় শিরক করাকে সবচেয়ে বড় জুলুম বলা হয়েছে। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিরক থেকে বেঁচে থাকতে উম্মতের প্রতি নসিহত করেছেন। আবার শিরক থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে বলেছেন। কিন্তু এ শিরক ও এর গোনাহ থেকে মুক্তির উপায় কী?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিরক থেকে বেঁচে থাকার জন্য যেমন দোয়া করতে বলেছেন তেমনি শিরকের গোনাহ থেকে মুক্তির দোয়াও শিখিয়েছেন। ইমাম বুখারি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আদাবুল মুফরাদে তা তুলে ধরেছেন-
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আলামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আলামু। (আদাবুল মুফরাদ, মুসনাদে আহমাদ)
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি মনের অজান্তে আপনার সাথে শিরক করা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই এবং মনের অজান্তে যদি (শিরক) হয়ে যায়, তার থেকে আপনার কাছে ক্ষমা চাই।’

শিরক থেকে বাঁচতে অবসরে বেশি বেশি এভাবে বলা-
اَللهُ… اللهُ رَبِّىْ لَا اُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
উচ্চারণ: ‘আল্লাহু… আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ!… আল্লাহ! তুমিই আমার প্রভু! আমি তোমার সঙ্গে কোনো কিছুকেই শরিক করি না।’

মুমিন মুসলমানের উচিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো পদ্ধতি ও ভাষায় শিরক ও শিরকের গোনাহ থেকে মুক্তি পেতে এ দোয়া বেশি বেশি করা। শিরক থেকে বেঁচে থাকা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরক ও শিরকের গোনাহ থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)