লকডাউনে ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২১

লকডাউনে ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা

আশরাফুল ইসলাম সাকিল প্রতিনিধি,
মহামারী করোনা ভাইরাস ( কোভিড ১৯)। এই করোনা ভাইরাসে লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। শুধু মানুষের জীবনই কেড়ে নিচ্ছেনা সেই সাথে কেড়ে নিচ্ছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষের রুটি, রুজি রোজগার করার উপায়ও।

আজ বাংলাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। সমগ্র বিশ্বকে আজ মহামারী করোনা ভাইরাস থামিয়ে দিয়েছে। তেমনি তার আঁচড় বাংলাদেশ তথা বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায়ও পড়েছে।

এই অঞ্চলের কঠোর পরিশ্রম করা মানুষ গুলো আজ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। থমকে দাঁড়িয়েছে সবকিছু।লকডাউনের কারণে কর্ম করতে পারেনা তারা। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে একটাই কথা মানুষের হাত,পা বেঁধে রাখা যায় কিন্তু মানুষের ক্ষুধা বেঁধে রাখা যায় না। ক্ষুধার জ্বালা মেটানোর জন্য মানুষকে কোনো না কোনো কর্ম করতে হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কঠোর লকডাউনের কারনে কাজ করতে পারছেনা। সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ী দেয়া হয়েছে কর্মের সময়সীমা যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মেনে চলা সম্ভব নয়।

লকডাউনে প্রভাব পরেছে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের উপরে। পাথরঘাটার বিভিন্ন বাজারঘাট ঘুরে দেখাগেছে ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা।

পাথরঘাটা কাঁচা বাজারের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী মো. আমির হোসেন পাথরঘাটা নিউজকে জানান, ব্যাবসার অবস্থা খুবই খারাপ। তারপরও পেটের দ্বায়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে দোকানে আসছি। আমার পরিবারে ৫ জন সদস্য। সবাইকে আমার দেখতে হয়। তার ভিতরে আবার অসুখ বিসুখ তো আছে। কিছু দিন ধরে বৃষ্টি হলেই ফলে দোকান খুলতে পারিনি। ঘর- বাড়ি পানিতে ডুবে একাকার হয়ে আছে। বাড়িতে রান্না করতে পরছেনা।

করোনার আগে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করছি। এখন আবার সরকার করোনার কারনে বেচা বিক্রীর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। আর এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হয়।

দিন মজুর মো. সিদ্দিক হোসেন বলেন,আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ আছে করোনার প্রথম দিকে কাজ-কর্ম করে পরিবারের নিয়ে চলছিল। কিন্তু এখন কাজ-কাম নেই বললেই চলে। কোন চকোর চলছে পরিবার নিয়ে।

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করে করোনার কারণে পাথরঘাটার নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে যে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তা কাটিয়ে উঠতে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় বিত্তবান ও দানশীল ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসা জরুরী হয়ে পড়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)