পাথরঘাটায় প্রেম থেকে বাল্য বিয়ে, মনোমালিন্যের শেষে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২১

এই ছবিটি প্রতিকীঅল্প বয়সেই প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় নাজমুল হাচান ও ছবি আক্তারের মধ্যে, প্রেম থেকে গড়ায় অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে। সংসারও চলে ৮ মাস। বাবার বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেনি স্ত্রী ছবি।

পরে শশুড় এমাদুল জামাতার বিরুদ্ধে ঠুকে দিলেন ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা। আর সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা হলে ঘূরে বেড়াচ্ছে স্বামী। এমনই ঘটনা ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটায়।

স্থানীয় শাহ আলম তালুকদার ও নাজমুলে পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুলের (২০) সাথে প্রতিবেশি এমাদুল হকের মেয়ে ছবির প্রেমের সম্পর্ক হয়। ছবি আক্তার নাজমুলের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসায় ওই সম্পর্কে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। ৮ মাস আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহমানের মধ্যস্ততায় পারিবারিকভাবে বয়স না হওয়ায় ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে নিকাহ রেজিষ্ট্রি ছাড়াই স্থানীয় মৌলভীর দ্বারা বিয়ে হয়। নাজমুলের মা প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাড়ির সংসারের সকল দায়িত্ব পরে যায় স্ত্রী ছবির উপর। সংসারের কাজ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ছবি আক্তার বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বাড়িতে না আসায় নাজমুল তার স্ত্রীকে একাধিকবার স্ত্রী ছবিকে আনতে গেলেও সে আসবেন না বলে জানিয়ে দেন। ৮ মাসের দাম্পত্য জীবন ইতি টানতে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ছবি আক্তারের বাবা এমাদুল হক বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে জামাই নাজমুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন।

তারা আরো জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান তাদের বিয়ে দিয়েছেন এখন তিনিই আবার মেয়ের বাবাকে দিয়ে ছেলেকে ফাসানোর জন্য মামলা করিয়েছেন, একজন জনপ্রতিনিধির ধারা আমরা সাধারণ মানুষ এটা আশা করি নাই। সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।

স্থানীয় মৌলভী আব্দুল মান্নান মুন্সি জানান, প্রথমে আমি বিয়ে পড়াতে চাইনি পরে ইউপি সদস্যের নির্দেশেই ছেলে ও মেয়ের বিয়ে পরিয়েছি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান তার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথমে কিছুই জানেন না বলে জানালেও পরে তিনি শুনেছেন বলে জানান। স্টাম্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন স্টাম্পে স্বাক্ষর নেননি এবং তার এলাকায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে শুধু সেই বিষয়ে জানেন।

ওই মামলার বাদি ও ছবি আক্তারের বাবা এমাদুল হক বলেন, আমার মেয়েকে নাজমুলসহ আরও দুজন মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে দুইদিন পর মাদাতলা নামক স্থানে ফেলে রেখে যায়। নাজমুল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে, ওকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাবোই।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)