পাথরঘাটায় নৌকার এজেন্ট স্ত্রীকে ভোট কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসায় স্বামীকে হত্যা, আটক ৩
বরগুনার পাথরঘাটার স্ত্রী রাহিমা আক্তার নৌকা মার্কার এজেন্ট হিসেবে ভোট কেন্দ্র ছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে ডেকে নেয়ায় স্বামী আরিফুল ইসলাম (৩০) নামে এক মোটরসাইকেল চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
রোববার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ইতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পাথরঘাটা থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরিফুল ইসলাম উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কামারহাট এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে।
আটকৃতরা হলেন আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রাহিমা আক্তার (২৫), শাশুড়ি পারভিন বেগম (৪০) ও শ্বশুর আবু হানিফা (৪৫)। তাদেরকে আটক করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফ মিয়ার মেয়ে রহিমা তার স্বামী আরিফুল ইসলামকে না জানিয়ে সকালে পাথরঘাটা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের নৌকা মার্কার এজেন্ট হন। একথা স্বামী জানতে পেরে ওই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দুপুরে দিকে তার স্ত্রীকে এজেন্ট হিসেবে দেখে সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে এসে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এরপর প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে প্রলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় ওড়না দিয়ে শ্বাস রোধ অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পরে থাকতে দেখে আরিফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে।
আটক রাহিমা আক্তার জানান, ভোট কেন্দ্র থেকে বাড়িতে আনার পথে আরিফুল তাকে অনেক মারধর করলে তার স্বামীকে কামড় দেয়। পরে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মাহত্যা করেছে।
পাথরঘাটা থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল জানান, প্রথামিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। ময়নাতদন্তে বলা শেষে বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরিফুলের স্ত্রীসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে।