ভোলায় জোড়া খুনের আসামি গ্রেপ্তারের দাবি

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:২০ এএম, ২১ জুন ২০১৮

খুনের আসামি গ্রেপ্তারের দাবিভোলায় পারিবারিক জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বড় ভাই ও তার বন্ধুর হাতে ছোট ভাই এবং ছোট ভাইয়ের শ্যালক খুন হয়েছে। গত ১৩ মে রবিবার মধ্যরাতে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ভোটেরঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (২০ জুন) সকালে ভোলা প্রেস ক্লাবের সামনে এ জোড়া খুনের আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলীপি প্রদান করা হয়।

তবে পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের বড় ভাইয়ের দুই ছেলে আরিফ ও শরিফকে আটক করেছে ঐ দিন দিবাগত রাতেই। কিন্তু দুই ছেলেকে আটক করা হলেও এ মামলার প্রধান আসামি ফিরোজ, মামুন ও তার স্ত্রীকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।

জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ভোটের ঘরের বাসিন্দা মৃত মোস্তফা মাস্টারের চার ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে এ বাড়িতে মামুন ও মাসুমই বাড়িতে থাকতো। তার বাাবার পৈত্রিক সম্পত্তির মধ্যে লক্ষ্মীপুরের কানিবগির চরে বিশ কানি জমির সবটাই মামুন একা ভোগ করতো।

পৈত্রিক জমি নিয়ে মামুন এবং তার ছোট ভাই মাসুমের মধ্যে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিনের। ওই বিরোধের জের ধরে ১৩ মে রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বড় ভাই মামুন তার দুই ছেলে আরিফ, শরিফ ও বন্ধু ফিরোজসহ আরো লোকজন নিয়ে ছোট ভাই মাসুমের ওপর হামলা করে। এ সময় মাসুমের সাথে থাকা তার শ্যালক জাহিদ মাসুমকে বাঁচাতে এলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করে।

মানববন্ধনে পরিবারের অভিযোগ করে বলেন, এ জোড়া খুনের ৩৭ দিন অতিবাহিত হলেও খুনি মামুন ও ফিরোজকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পরিবার আরো দাবি করেন, ভোলাতে এ প্রর্যন্ত যত খুন হয়েছে তাদের সব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও পুলিশ এ মামলার আসামি ধরার ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ করছে। অবিলম্বে এ মামলার মূল হোতাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রসাশনের হত্যক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন শেষে ভোলা জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিকি বরাবর স্বারকলীপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাপ্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা গালীব ফেরদাউস, ভোলা জেলা সেচ্ছাসেবকলীগে যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদুল আলম ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২১ জুন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)