স্বামীর ‘গলা কেটে’ ফ্যানে ঝুললেন স্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:০৬ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৮

নিহত গৃহবধূ জোসনা। ছবি : সংগৃহীত
পরকিয়ার জেরে দুই সন্তানকে অচেতন করে স্বামীকে কোপানোর পর অন্য একটি ঘরে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগের একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

স্বজনরা দরজা ভেঙে তাদের চারজনকে উদ্ধার করে আজ দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূ জোসনাকে (৩২) মৃত ঘোষণা করেন। তার দুই সন্তান ইফতি (১৪) জোহা (৭), ও স্বামী আবু সাঈদ স্বপনকে (৪৫) ঢামেকের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

জোছনার চাচাতো ভাই আব্দুল করিম বলেন,‘খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে বাড়ির আরও লোকজনসহ দরজা ভেঙে এক রুম থেকে জোছনাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামাই। পাশের রুমে খাটের উপর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপনকে উদ্ধার করি।’

আব্দুল করিম আরও বলেন,‘একটি মেয়ের সঙ্গে স্বপনের পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। সকালে অসুস্থ ছোট মেয়েটি দেখেছে তার মা-বাবা মারামারি করছে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ীর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াজেদ আলী। নিহতের স্বজন ও দুই সন্তানের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বামীর পরকিয়ার কারণে ওই পরিবারে বেশকিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে কৌশলে স্ত্রী তার দুই সন্তানকে ঘুমের ওষধ খাইয়ে অচেতন করেন।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূ ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামীর ঘাড়ে ও গলায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন এবং নিজে পাশের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পরে স্বজনরা দরজা ভেঙ্গে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ছাড়াও আর অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

ওয়াজেদ আলী বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের সন্তানদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় পাঠানো হয়েছে। স্বপন চিকিৎসাধীন রয়েছে।’

স্বপনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায়। তিনি গোলাপবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্বপন বেইলীরোডের একটি রেডিমেড পোশাকের দোকানের কাজ করেন। ছেলে ইফতি স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণিতে ও মেয়েটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। সূত্র: আমাদের সময়

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)