মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আইয়ুব বাচ্চু

মুনা জাহান
মুনা জাহান, বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২১ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮

আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ কবরের কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।আর রূপালী গিটার হাতে অলিগলিতে ঘুরে বেরাতে দেখা যাবে না তাকে। যে ঘুমন্ত শহরকে জাগাবেন বলে রূপালী গিটার হাতে তুলে নিয়েছে আজ সেই শহরে চিরদিনের মতো ঘুমিয়ে গেলেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। নিজের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এ কিংবদন্তি।

শনিবার (২০ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজের আগে চট্টগ্রাম নগরের এনায়েত বাজারের চৈতন্যগলি বাইশমহল্লা কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে শনিবার (২০ অক্টোবর) বাদ আসর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে হাজারও মুসল্লির অংশগ্রহণে চতুর্থ জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দিন।

এদিকে, জানাজার আগে প্রিয় শিল্পীকে একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ভিড় করে হাজার হাজার মানুষ। চট্টগ্রাম তার মরদেহ পৌছালে ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আইয়ুব বাচ্চুর কফিন রাখা হয় তার নানার বাড়ি নগরের পূর্ব মাদারবাড়ি বালুর মাঠে।

এরপর বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত তার কফিন সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ আসর জানাজা হয়। জানাজায় হাজারও মানুষ অংশ নেয়। জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দান পরিণত হয় জনসমুদ্রে। মাঠ ছাড়িয়ে পাশের সড়কেও সাধারণ মানুষ অবস্থান নেয়। আশপাশের বিভিন্ন ভবনের ছাদে জড়ো হন নারী ও শিশুরা। অনেকে প্রিয় শিল্পীর নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তার শেষ জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বাবা মোহাম্মদ ইছহাক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু।

বাংলাদেশের লিড গিটারিস্ট জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে হৃদযন্ত্রে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পথে ব্যক্তিগত গাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তার মৃত্যুতে ভক্ত অনুরাগী থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেয়া হয় মগবাজারে তার স্টুডিও ‘এবি কিচেনে’। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর মরদেহ নেয়া হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে তৃতীয় জানাজা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/ ২০ অক্টোবর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)