ভালো নেতা হওয়ার ৮ উপায়

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ছবিঃ সংগ্রহীতনেতৃত্ব দেওয়ার মতো গুণ সবার থাকে না। তবে অনেকেই কঠোর পরিশ্রম ও সতর্কতার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে ভালো নেতা বনে যান। এ লেখায় রয়েছে কয়েকটি উপায়, যা ভালো নেতা হয়ে উঠতে কার্যকর। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস নিউজ ডেইলি।

১. যোগাযোগ ও সংযোগ
নেতৃত্ব কেউ এমনিতেই হাতে পায় না। এটা অর্জন করতে হয়। বহু মানুষকে নিয়ে যে কোনো উদ্যোগের জন্য প্রথমেই যে কাজটি করতে হয় তা হলো, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা। এটা অনেকটা গণসংযোগের মতো। নেতৃত্ব বিষয়ক লেখক ও গবেষক টেরি সেন্ট মেরি বলেন, নেতাকে আরো মানবিক হতে হবে।

২. অন্যদের জানুন
আপনার কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানে কাজ করতে হলে সবার আগে সেই দল ও দলের সদস্যদের সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ থেকেই তাদের প্রত্যেককে নিয়ে ধারণা করতে পারেন নেতারা। এ থেকে সদস্যদের সঙ্গে আপনার বোঝাপড়া সৃষ্টি হবে। এ কারণেই দলের সদস্য সম্পর্কে নেতা ছাড়া আর কেউ ভালো জানেন না।

৩. সৃজনশীলতা
সবার মেধার মূল্যায়নের জন্য তাদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহ দিতে হবে। তাদের চিন্তা ও নতুন ধারণা সৃষ্টির স্বাধীনতা দিতে হবে। একজন আদর্শ নেতা নিজের চিন্তাধারা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরটাও গ্রহণ করেন।

৪. ইতিবাচকতা
একজন নেতা তার সদস্য ও যাবতীয় সমস্যা দিনের পর দিন সামলে চলতে পারেন। এর একমাত্র কারণ হলো, আদর্শ নেতারা যেকোনো বিষয়ের ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে আনতে সক্ষম। তারা নিয়মিত বাধাগুলোকে টপকে যেতে পারেন। নেতিবাচক বিষয়গুলো অবিশ্বাস্য দক্ষতার সঙ্গে মানিয়ে নেন।

৫. কাজে পরিচয়
সত্যিকার নেতারা জানেন, মুখে নয় কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সদস্যদের মনে স্থান করে নিতে হয়। কর্মীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে নেতাদের কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। নির্দিষ্ট উপায় এবং কৌশলে কর্মীদের সঙ্গে কাজ করলে কর্মযজ্ঞ নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে পড়বে।

৬. স্বচ্ছতা বজায় রাখুন
কর্মীদের অন্ধকারে রেখে কাজে সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। নেতা যা বলবেন এবং করবেন তা যেন সবার কাছে প্রত্যক্ষ হয়। একই পথে দলকে পরিচালিত করতে হবে। আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং কর্মপন্থা কর্মীদের কাছে স্পষ্ট রাখাটা নেতাদের অন্যতম আদর্শ হওয়া উচিত।

৭. প্রয়োজনে সহায়তা চাওয়া
শুধু দলের সদস্যরাই নেতাকে সহায়তা করতে পারেন না। নেতার শুভাকাঙ্ক্ষী, পরামর্শদাতা এবং পেশাদার ফেলো থাকবে। তারা নেতাকে বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতিতে সুপরামর্শ দিয়ে পরিচালিত করবেন। একজন নেতার অন্যতম উৎস হবে এসব ক্ষেত্র।

৮. বাস্তব উদ্দীপনা উপলব্ধি করা
নেতৃত্ব প্রদান কোনো গতানুগতিক চাকরি নয়। যদি নেতা সব বিষয় গতানুগতিকভাবে নেন তবে বেশি দূর এগোনো সম্ভব নয়। নেতাকে তার আত্মোপলব্ধি অনুভব করতে হবে। আদর্শ নেতা নিজের ভেতরটা বুঝকে নিজেকে প্রশ্ন করেন। তাদের নেতৃত্ব প্রদানের কারণ বুঝতে হবে। প্রত্যেক কাজেরই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুভব করে সে অনুযায়ী উদ্দীপনার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৭ ডিসেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)