পাথরঘাটায় এই ছবিটি ভেঙ্গে দিলো মেয়েটির বিয়ে

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১০:৫৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

পাথরঘাটায় এই ছবিটি ভেঙ্গে দিলো মেয়েটির বিয়ে

বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল বিয়ের কথাবার্তা। ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষ মিলে সিদ্ধান্ত হয় বিয়ের। এক মধ্যস্থতাকারী (ঘটক) এর প্রস্তাবের মাধ্যমে পরস্পর একে অপরকে দেখে ছেলে মেয়ে চূড়ান্ত হয় বিয়ের। তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছিল। ছেলের পক্ষ থেকে এবং কনে পক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজন দাওয়াত করার কাজটি ও সমাপ্ত। এর মধ্যে কয়েক দফা ফোন আসে ছেলের মোবাইল 01710…..39 নাম্বারে অপরিচিত
01767664036 এবং 01639748986 নাম্বার থেকে। জানতে চাওয়া হয় ছেলের মতামত বিয়ের ব্যাপারে। ছেলেও সহজ ভাবে সবকিছু শেয়ার করে অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসা ব্যক্তির সাথে।

অপরিচিত ব্যক্তির সাথে নববধূর গোপন সম্পর্কের কথা একে একে বলতে থাকে নবদুলহার কাছে। বিষয়টি ছেলের পক্ষ থেকে কনে পক্ষের কাছে জানানো হলে তারাও বিষয়টি অস্বীকার করে শত্রুপক্ষের উপর দোষ চাপিয়ে দেয়। ছেলে সহজভাবে কনে পক্ষের কথা মেনে নেয়।
উভয় পক্ষের সিদ্ধান্তে বিয়ের তারিখ ছিল আজ রবিবার বাদ আসর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আকনবাড়ি শাহাদত নগর দরবার শরীফ জামে মসজিদে।

এদিকে ছেলে পক্ষ এবং কনে পক্ষের সকল লোকজনদের দাওয়াত দেওয়ার কাজ সমাপ্ত। মেহেদির রঙ এ সাজানো হয়েছে কনের হাত অপরদিকে বিয়ের কেনাকাটা শেষ করে ছেলে পক্ষ। বিকেলে মেয়ের বাড়ি জামাই আসার প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন করছে মেয়ের অভিভাবকরা। বাজার-সদাই জোগাড়। রান্না চুলোয় চড়িয়ে দেওয়ার বাকি।

হঠাৎ বিয়ের দিন আজ দুপুর বেলা ছেলের মোবাইলে 01744427148 এই নাম্বারে একটি ম্যাসেজ আসে। স্ক্রিনে দেয়া ছবিটি নবদুলহা দেখে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল ।

এটি কোন গল্প কিংবা কাল্পনিক কথা নয়। পাথরঘাটা উপজেলার ঘটনা। বিশ্বাস হচ্ছে না!

ছবি দেখে অনুসন্ধান করে জানা যায় পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা কালীবাড়ি গ্রামের আলতাফ মিয়ার বখাটে ছেলে সলেমান মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটে ছবিটি পোষ্ট করে ছদ্মনাম মধু নামের নবদুলহার কাছে।

এব্যাপারে অভিযুক্ত সলেমানের সাথে এবং ঐ মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে ও যোগাযোগ করা যায়নি।

এছবি পেয়ে বরপক্ষের মুরব্বিদের জানালে আজ রবিবার বিকেলে আলোচনায় বসে উভয় পক্ষের লোকজন।
কনের মামা ছবি দেখে মাথায় চরকগাছ। ভেঙ্গে যাওয়ার পথে দুজনার স্বপ্ন। আর বিচারের আওতায় আনার দাবি ঐ বখাটে সলেমানের। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)