বৃষ্টি এলেই স্কুল ছুটি

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ১৭ জুন ২০১৯

বৃষ্টি এলেই স্কুল ছুটি / ছবিঃ সংগ্রহীতঅত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ গলাচিপার পূর্ব কল্যাণকলস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি। বৃষ্টি এলেই বাজে ছুটির ঘণ্টা। বৃষ্টি শুরু হলেই ছাদের ফাটল ও জানালার পাল্লা না থাকায় পানি জমে যায় কক্ষের মধ্যে। তখন ছুটির ঘণ্টা বাজানো ছাড়া উপায় থাকে না শিক্ষকদের। এ ভবনের বিম ফেটে কংকালের মতো রড বেরিয়ে আছে। যখন-তখন ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ে আহত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

এতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালীন সময় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতংকের মধ্যে থাকে। ফলে শিক্ষকের পাঠদান ও শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণে মনযোগী হতে পারে না। এদিকে অত্যন্ত নাজুক ভবনে দুর্ঘটনার আশংকায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে যেতে প্রতিনিয়ত বাধা দিচ্ছে। অভিভাবকদের নিষেধ উপেক্ষা করে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসছে না। এতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা নেমে এসেছে শতকের কোঠায়। ভবনের এ অবস্থা বিরাজ করায় যে কোনো সময় বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ১১৫ নম্বর কল্যাণকলস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, ১৯৭৬ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ৪৭ বছর পার হয়ে গেলেও ১৯৯৪ সালে সরকারিভাবে এ বিদ্যালয়ে একটি ৩ কক্ষের ভবন নির্মিত হয়। নির্মাণের ২৫ বছর পার না হতেই ভবনটির এ নাজুক দশার জন্য নিুমানের সামগ্রী ব্যবহার করাকে দায়ী করেন এলাকাবাসী। বিদ্যালয়টিতে যেতে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব খারাপ। রাস্তা না থাকায় অনেক ছাত্রছাত্রীকে বর্ষার সময় বিলের পানি ভেঙে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।

এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা রায়হান ইসতিরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সব সময় আতংকে থাকে। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা বার বার ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। পড়াশোনায় মনযোগী হতে পারে না। নতুন ভবন নির্মাণ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে ক্লাস চালানো অসম্ভব হবে।

বিদায়ী শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটি আসলেই চরম ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ওই বিদ্যালয়ের নাম তালিকার প্রথমেই রয়েছে। এ তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে ইতিপূর্বেই পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)