বঙ্গোপসাগর থেকে বাহিনী প্রধানসহ ৫ জলদস্যু আটক

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:১৬ এএম, ২৯ মার্চ ২০২১

ছবিঃ সংগ্রহীতকুয়াকাটা থেকে দক্ষিণে গভীর বঙ্গোপসাগরে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতি হওয়া ১টি ট্রলার ও জালাল বাহীনির প্রধানসহ ৫ জলদস্যূকে আটক করে।


রোববার বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে জলদস্যূদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।


আটককৃতরা হচ্ছে জলদস্যু জালাল বাহিনীর প্রধান কুয়াকাটার পশ্চিম খাজুরা গ্রামে জালাল, কক্সবাজার জেলার মহেষখালীর তালেব আলী (২৭), লক্ষীপুরের আবদুল কাদের (২৬), পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার রাসেল (২৭) ও রুহুল আমিন (৩৫) ।


এসময় জলদস্যুদের কাছ থেকে ২ টি রামদা, ১ টি বল্লম, ৫ টি লোহার রড ও ৫টি লাঠিসহ ১টি মাছ ধরা ট্রলার জব্দ করা হয়। মহিপুর থানা পুলিশ এ অভিযানে সহযোগিতা করেন।


পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ২৪ মার্চ এফ,বি মুসা নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতি করার পর মুক্তিপণের অভিযোগে মহিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন ট্রলার মালিক হারুন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে রোববার ভোরে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ গভীর সমুদ্রে অভিযান পরিচালনা করে এদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।


এ ঘটনায় ট্রলার মালিক নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের হারুন মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।


কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এ এসআই কামরুজ্জামান জানান, গত বৃহস্পতিবার জলদস্যু জালাল সহ তার সঙ্গীয় বাহিনীদের নিয়ে কাকঁড়া ধরার ইঞ্জিন চালিত একটি নৌঁকা নিয়ে গভীর রাতে এফবি মুসা নামের মাছ ধরার ট্রলারে হামলা চালায়। ওই ট্রলারে থাকা ৬ জেলেদের মারধর করে অন্য মাছ ধরার ট্রলারে তুলে দেয়া হয়। এরপর জলদস্যূরা ট্রলার মালিকসহ আড়ৎদারের কাছে মুক্তিপণ দাবী করে আসছিল।


কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী বলেন, ট্রলার মালিকের সাধারণ ডায়েরীর সুত্র ধরে প্রযুক্তির ব্যবহার করে চারদিন আগে ডাকাতি হওয়া ট্রলার ও জলদস্যু আটক করা হয়। আটককৃত ৫ জলদস্যুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহিপুর থানার ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জান।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)