যে কারণে নয়ন বন্ডের লাশ গ্রামে ঢুকতে দেয়া হয়নি

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৯

ছবিঃ সংগ্রহীতরিফাত শরীফ হত্যার প্রধান আসামী নয়ন বন্ড বন্ধুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তার লাশ দফনের জন্য নিজের গ্রামে নিতে দেয়নি এলাকাবাসী। কোন উপায় না দেখে তার লাশ করা হয়েছে বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের বুরজির হাটখোলা গ্রামে তার মামা বাড়িতে।

নয়ন বন্ডের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম সীমান্তে গলাচিপা উপজেলার ৮ নম্বর বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াবাশবাড়িয়া গ্রামে সাব্বির হোসেন নয়ন বন্ডের বাবার বাড়ি।

ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, নয়ন বন্ডের লাশ আমাদের গ্রামে দাফন করতে দেয়া হবে না। তার মতো এমন জঘন্য খুনির লাশ অন্য কোথাও দাফন করা হোক।

এ বিষয়ে নয়ন বন্ডের চাচা লিটন মোল্লা বলেন, নয়নকে আমি দেখিনি। তার বাবা খুব ভালো মানুষ ছিলেন। বাড়ির সবাই নয়ন বন্ডের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে নিষেধ করে দিয়েছেন। নয়ন বন্ডের ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের কারণে গ্রামের বাড়ির কেউই নয়ন বন্ডকে আত্মীয় পরিচয় দিতে চাচ্ছেন না। এ অবস্থায় তার মামার বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়ন বন্ডের লাশ বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের বুরজির হাটখোলা গ্রামে তার মামা বাড়িতে দাফন করা হয়। অল্প কিছু মানুষ তার দাফনে অংশ নেয়।

মরদেহ হস্তান্তরকারী পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিন বলেন, বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের বুরজির হাটখোলা গ্রামে নয়নের মামা বাড়িতে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

জানাযায়, নয়ন বন্ডের মৃত্যুর খবরে যেমন হাসি ফুটেছিল পুরো দেশের মানুষের মুখে, তেমনি হাসি ফুটেছিল তার নিজ বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলাবাসীর মুখেও। নয়ন বন্ডের মৃত্যুর খবর প্রকাশ হওয়ার পরপরই দশমিনার সচেতন মহল তার মরদেহ দশমিনার মাটিতে দাফন না করতে দেয়ায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। তাই স্থানীয় সচেতন মহলের এমন প্রতিজ্ঞার কথা জানতে পেরে স্বজনররা নয়ন বন্ডের লাশ নিয়ে দশমিনায় আসেননি।

পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিন বলেন, নয়নের লাশ তার মামা মিজানুর রহমান মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রহণ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে পটুয়াখালী নেয়া শুরু করলে সেখান থেকে খবর আসে, খুনির লাশ সেখানে দাফন করতে দেবে না এলাকাবাসী। এ অবস্থায় মিজানুর রহমানের নিজের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায় নয়নকে দাফন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যায় তার বাড়িতে নয়ন বন্ডের লাশ দাফান করা হয়।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে বরগুনার পুরাকাটার পায়রা নদীর পাড়ে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রিফাত হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, দুটি শটগানের গুলির খোসা এবং তিনটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এএসপি শাজাহানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)