তালতলীর পায়রা নদীর বেরিবাঁধে ফের ভাঙ্গন

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ এএম, ২৮ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ০৯:৫৯ এএম, ২৮ মার্চ ২০২৩

তালতলীর পায়রা নদীর বেরিবাঁধে ফের ভাঙ্গন

মোস্তাফিজ,

নিজস্ব প্রতিবেদক তালতলী,

বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর বেরিবাঁধে ফের নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। উপজেলায় নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় দেখা দিয়েছে এই ভাঙ্গন। এর ফলে উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ লোনা পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়ে। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে প্রবল জোয়ারে প্রায় ১০০ ফুটের মতো বেড়িবাঁধ নদীতে চলে যায়। বাঁধের এই অংশে দেড় থেকে দুই ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। তাৎক্ষণিক মেরামত করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে বাঁধের এই অংশ পুরোপুরি ধসে গিয়ে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে। এছাড়াও এই এলাকার সারে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

২০০৭ সালে প্রলঙ্করী ঘূর্নিঝড় সিডরে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে তালতলী উপজেলার মানুষের সব থেকে বেশি জানমালের ক্ষতি হয়। এরপর থেকেই ঝড় ও জলচ্ছাস থেকে বাঁচতে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহ ফিরোজ বলেন, যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এর আগেও কয়েকবার বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ ভেঙে এলাকায় লোনা পানি ঢুকলে সব ধরনের ফসল ও গাছ মারা যায়। ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। তখন গরু-ছাগলসহ পশু-পাখি নিয়ে বিপদে পড়তে হয়। বাঁধ ঠিক হলে আবার ঘর ঠিক করে বসবাস শুরু করি। একটু গুছিয়ে উঠতেই দেখা যায় আবার বাঁধ ভেঙে সব শেষ হয়ে গেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, তেঁতুল বাড়িয়া এলাকায় আবারও বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই এলাকার মানুষ। এবারও তাই হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকলে নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক গ্রাম ডুবে যাবে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে সার্ভ করতে পাঠিয়েছি। সার্ভে রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)