ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর পাথরঘাটায় ঘর তুলতে চাঁদা দাবী, না দেয়ায় হত্যার হুমকি

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজচরদুয়ানি (পাথরঘাটা) প্রতিনিধি
বরগুনার পাথরঘাটায় সরকারি খাসজমির উপর ঘর তুলতে সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেয়ায় এক জেলে পরিবারের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে পেটের ভুঁড়ি কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে স্থানীয় মুসা ও সুজন বাহীনির নেতৃত্বে ৫/৭ জন সন্ত্রাসী। স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন ফিরোজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

শনিবার রাত ১০টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিন চরদুয়ানী বলেশ্বর নদীর তীরে বিশ্বাস বাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, হাসি বেগম (৪০) তার ছেলে ইমন (১১) ও জেসমিন আক্তার। ঘটনার সময় হাসির বেগমের স্বামী সাগরে অবস্থান করছেন।

আহত হাসি বেগম জানান, তার ভুমিহীন স্বামী গেন্দু তালুকদার সাগরে অন্যের ট্রলারে মাছ ধরে সংসার চালায়। দীর্ঘ দিন ধরে তারা জ্ঞানপাড়া গ্রামের বন্যা নিয়ান্ত্রন বাঁধের ওপর বসবাস করে আসছিল। বর্তমানে বাঁধ সংস্কার কাজের জন্য বসবাসকারি পরিবার গুলোকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিবারগুলে অনুপায় হয়ে স্থানীয় প্রভাবশালি চাঁদাবাজদের বিভিন্ন অংকের টাকা দিয়ে সরকারের ৪৫ একর পতিত জমি ৬০টি ভুমিহীন পরিবার দখল করে অবন্থান করে। এতে হাসি বেগম টাকা না দিয়ে ঘর নির্মান করায় মুসা ও সুজন নামের দু’জনের নেতৃত্বে ৫/৭ জন সন্ত্রাসীরা এসে রাতে হাসির ঘরে প্রবেশ করে ছেলের গলার রামদা ধরে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবী করে। ঘরে টাকা নাই বলে সন্ত্রাসীদের জানালে তারা ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে তাদের মারধর করেছে। পরে তাদের ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পলিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আবার ও আসবে হুমকি দিয়ে বলে যায় টাকা না দিলে পেটের ভুঁড়ি কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেবে

ভুক্তভোগী পরিবারের সুত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না।

স্থানীয় হেমায়েত বিশ্বাস জানান, এসব চাঁদাবাজরা আগে সুন্দরবনের জলদস্যুদের গোয়েন্দা হিসাবে কাজ করত। এখন সাগরে ডাকাতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি করছে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, এব্যাপারে এখনো কেহ আমার কাছে আসেনি। আমি অভিযোগ পেলে আইনী ব্যাবস্থা নিব।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)