মঠবাড়িয়ায় গবাদি পশু বেঁধে পালার দাবিতে কৃষকদের মিছিল সমাবেশ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজমঠবাড়িয়া প্রতিনিধি:
“কৃষকদের দাবী মানতে হবে, গরু-ছাগল বাঁধতে হবে” এই শ্লোগান দিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মিরুখালীতে সোমবার সকালে কৃষকরা মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

মিরুখালী গ্রামের গাবতলা থেকে সাবেক ইউপি সদস্য আঃ লতিফ হাওলাদারের নেতৃত্বে মিছিলটি প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে ওয়াহেদাবাদ (নাপিতখালী) গ্রামে মোঃ হিরু হাওলাদারের বাড়ির সামনে সমাবেশ করে।

মিছিলে এলাকার প্রায় শতাধিক প্রান্তিক কৃষক ও চাষি অংশ নেয়।

সমাবেশে সাবেক ইউপি সদস্য আঃ লতিফ হাওলাদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কৃষক মিহির লাল রায় লালু, মোঃ হাবিবুর রহমান ও মোঃ মাঈন উদ্দিন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, শুকনা মৌসুমে মাঠে ছেড়ে দেয়া গরু-ছাগল রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। আমন ধান ওঠার পর গরু-ছাগলের ক্ষতির ভয়ে অনেক কৃষক রবিশষ্য দেয় না। এসময়ে কৃষকরা কর্মহীন হয়ে অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। গবাদি পশু বেঁধে পালন করলে ফসলের ক্ষেতে কৃষকরা বোরো ধান, মুগ, কলাই, ভূট্টা, সূর্যমুখিসহ বিভিন্ন রাবিশষ্য চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে। এত কৃষকের সাথে দেশও লাভবান হবে এবং অপরাধ মূলক কর্মকান্ডও কমে যাবে। কৃষকরা পালিত গরু-ছাগল ছেড়ে না দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রতি শুকনা মৌওসুমে গরু-ছাগলের ভয়ে উপজেলায় ৮ হাজার হেক্টও জমি অনাবাদি থেকে যায়। এটা দেশের বিরাট এক ক্ষতি। যদি গরু-ছাগল বেঁধে পালত তবে এই ৮ হাজার হেক্টরেও কৃষকরা উম্মুক্তভাবে চাষাবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারত।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)