ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের অসম যুদ্ধ বন্ধ করা সহ ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার হোন -ছারছীনার পীর ছাহেব

কাজী রাকিব
কাজী রাকিব, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ২০ মে ২০২১

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজআমীরে হিয্বুল্লাহ ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মাদ মোহেব্বুল্লাহ চলমান ইসরাইল ও ফিলিস্তিন যুদ্ধ বিষয়ে তাঁর ভক্ত-মুরীদান, জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নেতা-কর্মী, আপামর মুসলিম জনতা ও বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইঙ্গ-মার্কিন বিজয়ী জোট পরাজিত অটোমান সম্রাজ্যেকে খন্ডে খন্ডে বিভক্ত করে তার মধ্যখানে ফিলিস্তিন অংশে জোর পূর্বক আগ্রাসী ইহুদীদের বসিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির বীজ বপন করে। ফলে দখলদার ইসরাইলীদের ক্রমাগত আগ্রাসনে ফিলিস্তিন দেশের আদি বাসিন্দা মুসলমানগণ ভিটে মাটি হারিয়ে নিজ দেশে পরবাসী ও উদ্বাস্তু হয়ে যায়। বিগত অর্ধ শত বছরে কয়েকবার আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল তার মিত্র আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে শুধু ফিলিস্তিনকেই গ্রাস করেনি বরং মিশর, জর্ডান ও লেবাননের এক বিস্তির্ণ এলাকাও দখল করে নিয়েছে।

বর্তমানে ইসরাইল পারমানবিক শক্তিধর একটি অবৈধ রাষ্ট্র। পক্ষান্তরে গাজা ও পশ্চিম তীরের যত সামান্য এলাকা নিয়ে গঠিত ক্ষুদ্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি এখনো সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পায়নি এবং তাদের উদ্বাস্তু জীবনের অবসানও ঘটাতে পারেনি। তাদের নেই কোন নিয়মিত সৈন্য, বিমান, জাহাজ ও ট্যাংক। এহেন একটি দুর্বল জনগোষ্ঠীর উপর কথায় কথায় বিমান হামলা করা, ট্যাংক নিয়ে আক্রমন করা জঘন্যতম মানবতা বিরোধী অপরাধ।

গাজা ও পশ্চিম তীরের সামান্য মরুময় অঞ্চল যেখানে মুসলমানরা গাদাগাদি করে বসবাস করছে সেখান থেকেও জোর পূর্বক মুসলমানদের উচ্ছেদ করে তথায় ইহুদী বসতি স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদদাসের নগরী জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী ঘোষণা করেছে। মুসলমান, খ্রীষ্টান ও ইহুদী তিন ধর্মের নিকট পবিত্র স্থান বাইতুল মুকাদদাসকে তারা কুক্ষিগত করে সেখানে মুসলমানদের যেতে বাধা প্রদান, তল্লাশীর নামে হয়রানী, নির্যাতন ও হত্যা পর্যন্ত করছে।

গত মাহে রমজানের লাইলাতুল কদরে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লীদের উপর অতর্কীতভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অর্ধশতাধিক মুসলমানকে শহীদ করেছে। এ জুলুমের কোন প্রতিবাদ করলেই তারা হয় জঙ্গী, সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী। অপরদিকে ইহুদীদের আত্মরক্ষার অধিকারের নামে মুসলমানদের হত্যা করার লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে বিশ্ব মোড়লরা। হাজার হাজার মুসলমান মারা পরলেও তাদের কিছু আসে যায় না। ইহুদীদের স্বার্থে সামান্য আঘাতও তারা সহ্য করেনা।

বর্তমানে নমাজরত মুসল্লীদের হত্যার প্রতিবাদ করায় ইসরাইল গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে তাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। এহেন মূহুর্তে সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে ফিলিস্তিনীদের পাশে দাড়ান সকল মুসলমানের নৈতিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে হযরত পীর ছাহেব কেবলা বাংলাদেশ সরকারকে সেখানে ত্রাণ ও ঔষুধ সহ মেডিকেল টীম পাঠাতে, বিশ্ব ফোরামে প্রতিবাদ জানাতে এবং প্রয়োজন হলে জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষী মিশনে সৈন্য পাঠানোর পরামর্শ দেন। এজন্য একটি শক্তিশালী ফান্ড গঠনের নিমিত্ত জনগণের অংশ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির আহবান জানান।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)