ঘর্ণিঝড় ইয়াস পাথরঘাটায় ৩ দিনেও সহায়তা পায়নি ক্ষতিগ্রস্থ্যরা

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ২৯ মে ২০২১

ছবিঃ পাথরঘাটা নিউজঘূর্ণিঝড় ইয়াস শেষ হওয়ার ৩ দিনেও ত্রান সহায়তা পায়নি ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলো। আজ শনিবার (২৯ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা গুলোতে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার রুহিতা ও জ্বিনতলা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র প্রভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার বেরীবাধের পাশের পরিবার গুলো না খেয়ে আছেন। বেরীবাধ ভেঙ্গে ভাসিয়ে না নিলেও নদীর ডেউয়ের পানিদে ভিতরে ডুকে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করার কারনে ওই পরিবার গুলোর রান্না ও খাওয়া বন্ধ আছে। তাছার প্রশাসন থেকে বরাদ্বের খবর পালেও তার ৩ দিন চলে গেছে কিন্তু
এখন পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কোন খোজ রাখেনি। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অতিক্রমের ৩ দিন পার হলেও কোন ত্রান সহায়তা পায়নি ওই সকল ক্ষতিগ্রস্থ
পরিবারগুলো। করছেন আহাজারি পড়েছেন খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে।

স্থানীয় জাহাঙ্গীর, ইয়াসিন হাওলাদার ও আব্দুল কুদ্দুস মিয়া জানান, বন্যার পানিতে পদ্শা এলাকার বেরীবাধের কিছু অংশ ছুটে ঘরের মধ্যে পানি ডুকে গেছে। এখন তারা বাজার থেকে শুকনো খাবার ক্রয় করে নিয়ে খেতে হয়। সরকারী ভাবে অন্য এলাকায় ত্রান সহায়তা দিলেও তাদের খবর কেউ রাখেনি।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা দুর্যোগ ও ত্রান বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের তালিকা করা হয়েছে। ওই সকল ক্ষতিগ্রস্থ্যদের জন্য ১০ মেট্রিকটন চাল ১৭ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে
হয়েছে। অল্পের মধ্যেই এগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিতরণ করবেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আমার বরগুনা জেলার সকল স্থানের খবর নিয়েছি। জানতে পেরেছি নদীর পারের কিছু বেরীবাধের
ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে, তা মেরামতের কাজ চলছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে বেরীবাধ এলাকার অনেক পরিবার ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে তাদের জন্য ৫৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ হয়েছে। ইতমধ্যে এ চালগুলো ভিতরন শুরু হয়েছে।

এদিকে কৃষি মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে ৮৫ হেক্টর আউশ বীজতলার বপন করা ৩৭০ হেক্টর জমির আউশ বীজতলা তিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পাথরঘাটার
২০টি পানের বরজ, ৭ হেক্টর জমির মরিচ, ৮ হেক্টরের পেপে,  ১৭ হেক্টর জমির হলুদ ও ২৩১ হেক্টর জমির অন্যান্য ফসলের তি হয়েছে। জলোচ্ছাসে এই উপজেলার এক হাজার ১৫০ টি ঘেরের মাছ ভেসে গিয়েছে। যার আয়তন, ৫৪ হেক্টর। পুকুর ও ঘের মিলিয়ে ৬০ মেট্রিকটন মাছ জলোচ্ছাসে ভেসে গেছে বলে তিনি জানান। যার আনুমানিক মূল্য ১কোটি  টাকা।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)