বরগুনায় পুলিশের হাতে শিশু নির্যাতন: এসআই ক্লোজড

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২:০২ এএম, ১০ এপ্রিল ২০১৮

আহক ছাত্র ও পুলিশবরগুনায় পুলিশের গায়ে সাইকেল উঠানোর অপরাধে ১১ বছরের মাদরাসার শিশুকে বেধরক মারধর করেছেন আদালতে দায়ীত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাস চন্দ্র ব্যানার্জি। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই এসআইকে তাৎক্ষনিক ক্লোজ করে পুলিশ লাইনসে নেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও হচ্ছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বরগুনা জেলা জজ আদালতের গেটের সামনে ।

শিশুটির বাড়ী বরগুনা সদর উপজেলার উত্তর খাজুরতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মো. মাহফুজুর রহমান (১১)। তিনি বরগুনা আলিয়া মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

আহত মাদরাসা শিক্ষার্থী মাহাফুজুর রহমান বলে, সোমবার বাড়ী থেকে সকাল সাড়ে ছয়টায় বরগুনা আলীয়া মাদ্রাসা যাই। মাদ্রাসায় পরীক্ষা থাকায় সাইকেলে চড়ে আবার বাড়িতে যাওয়ার পথে জজ কোর্টের সামনে একটা রিক্সাকে সাইট দিতে গিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার পায়ের উপর সাইকেলটি উঠে। এতে পুলিশ অফিসার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কিল ঘুষিসহ বেধরক মারধর করে সাইকেলটি পিটিয়ে ভাংচুর করে। এতেই পুলিশ অফিসার ক্ষান্ত হয়নি। পরে আমাকে জজ কোর্টের ভিতরে নিয়ে আবার বেধড়ক মারধর করে। আমি পুলিশ কর্মকর্তার পা ছুয়ে মাফ চাইলে আমাকে লাথি মারে আহত করে।

প্রত্যক্ষদর্শি আবদুর রহিম বলেন, অমানবিক ভাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা শিশুটিকে মারধর করেছে। বিষয়টি বিচারকদের নজরে আসলে শিশুটি ছাড়া পায়।

এ ব্যাপারে বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তাৎক্ষনিক ভাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনসে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. নাজমুল আহসান বলেন, ওই পুলিশ কর্মকর্তা বেতাগী থানায় থাকাকালিন সময় আরও একটি জঘন্য ঘটনা ঘটানের ফলে তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছিল। পুলিশ সুপার আমাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ সুপার বিজয় বসাক ওই শিশুটিকে একটি পাঞ্জাবি কিনেও দিয়েছেন।

অভিযুক্ত এসআই সুভাস চন্দ্র ব্যানার্জি বলেন, শিশুটি আমার গায়ে সাইকেল তুলে দিলে আমি রাগ করে কয়েকটি থাপ্পর দেই।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১০ এপ্রিল

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)