রোমান্টিক দৃশ্যে নার্ভাস হয়েছিলাম: তানহা তাসনিয়া

আকন মোঃ বসির
আকন মোঃ বসির, প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৪৩ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | আপডেট: ০৭:১১ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

তানহা তাসনিয়া

৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত সিনেমা ‘ভালো থেকো’। আরিফিন শুভর বিপরীতে এ ছবিতে অভিনয় করেছেন তানহা তাসনিয়া। কেমন ছিল কাজের অভিজ্ঞতা?

শুনলাম আপনি নাকি অসুস্থ?

একটু অসুস্থ ছিলাম। এখন কিছুটা বেটার। টেস্ট করালাম, ওষুধ খাচ্ছি। এরই মধ্যে সিনেমার প্রচারণার কাজ করে যাচ্ছি। এখন যমুনা টিভিতে যাচ্ছি, লাইভ অনুষ্ঠান (বৃহস্পতিবার) আছে। সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠানটি শুরু হবে।

৯ ফেব্রুয়ারি ‘ভালো থেকো’ মুক্তি পাচ্ছে, এতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলুন?

‘ভালো থেকো’তে কাজ করে আমার খুবই ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর দর্শক একটি পারিবারিক গল্পের ছবি দেখতে পাবে। আমাদের দেশীয় গল্পের ছবি। এখানে আমার চরিত্রটির নাম নীলা। সুন্দর ও মৌলিক গল্পের একটি সিনেমা। আশা করছি, ছবিটা দর্শকের অনেক ভালো লাগবে। এখানে বড় ডিরেক্টর আছেন, বড় আর্টিস্ট আর গল্প। অনেক বড় বাজেটের ছবি, ভালো পরিচালক ও কলাকুশলী দ্বারা নির্মিত। সম্পর্ক আর বন্ধনের সুন্দর গল্প পাবেন এ সিনেমায়। নেপালের খুব সুন্দর জায়গায় সিনেমার গানের শুটিং হয়েছে। এই ছবিতে গানের মধ্যেও বেশ ভিন্নতা রয়েছে, যা দেখে দর্শক বিনোদিত হবেন।

‘ভালো থেকো’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?

প্রত্যাশা তো খুবই ভালো। কারণ এখানে যারা কাজ করেছেন, সবাই ভালো কাজ করেছেন। বড় আর্টিস্ট ও পরিচালকের বিগ বাজেটের ছবি। আমি এই ছবিতে প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেছি আরিফিন শুভ ভাইয়ের সঙ্গে। সিনিয়র শিল্পী হলেও তিনি আমার সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করেছেন। তিনি তো অনেক বড় শিল্পী। সহশিল্পী হিসেবে আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। কাজের ক্ষেত্রে আমাদের বোঝাপড়াটা ভালো। আশা করি, ভালো থেকোতে আমাদের কাজ ও সম্পর্কের রসায়ন দর্শক পছন্দ করবেন। চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে আমি কাজ করি। নিজের সামর্থ্যরে মধ্যে যতটুকু ছিল, আমি চেষ্টা করেছি ভালো করতে। দর্শকের ভালো লাগবে এটুকু বলতে পারি।

শুটিংয়ের সময়কার সুন্দর কোনো স্মৃতির কথা যদি বলেন…

সিনেমায় একটা দৃশ্য এমন ছিল-আমি শুভ ভাইকে বলছি, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি নিজেও জানি না কখন তোমার প্রেমে পড়েছি।’ এ রোমান্টিক দৃশ্যধারণের সময় খুবই নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। এমনিতে শট ওকে ছিল। কিন্তু ভেতর থেকে প্রেম কিংবা আবেগের যে ব্যাপার তা কিছুই আসছিল না। তখন শুভ ভাই বললো, তুমি অনুভব করো, একদম ভেতর থেকে অনুভব করো। আমি সেভাবে চেষ্টা করলাম। সেদিন ভাইয়া সহযোগিতাটা না করলে দৃশ্যটা ধারণ বেশ কষ্টসাধ্য হতো।

আপনি তো নানারকম চরিত্রে কাজ করেন, প্রস্তুতির তো ব্যাপার থাকে, আপনার বেলায় তা কীভাবে তৈরি হয়?

স্ক্রিপ্ট পাওয়ার পরে প্রথমে নিজে নিজে প্র্যাকটিস করি। বুঝতে না পারলে কো-আর্টিস্ট এবং পরিচালকের হেল্প নিই। এই ছবিতে কাজ করার সময় রাজু স্যারের সঙ্গে গ্লুমিং করেছি। আমার চরিত্রটা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। একটা ভাবনা ও কল্পনার জায়গা থেকে ইমাজিন করি। নানাভাবে চরিত্রটাকে নিজের ভেতরে ধারণ করার চেষ্টা করি।

নতুন কাজের খবর কী?

এই মুহূর্তে নতুন সিনেমার কোনো কাজ করছি না। তবে বেশ কয়েকটা ছবিতে কাজের কথা চলছে। চূড়ান্ত হয়ে গেলে জানাব। মডেলিংয়ের কাজ করছি। এখন ‘ভালো থেকো’র প্রচারণা নিয়ে এত ব্যস্ত সময় কাটছে যে, অন্য কোনোদিকে আসলে মনোযোগ দিতে পারছি না।

শিল্পী হিসেবে মানুষের ভালোবাসা কেমন উপভোগ করেন?

এটা খুব ভালোলাগে। আমি বিষয়টি খুবই এঞ্জয় করি। এই দু তিন বছর আগেও আমাকে কেউ চিনত না। কিন্তু এখন বাইরে গেলে মানুষ বলে যে, আপু আমি আপনার ফ্যান। আপনার অমুক বিজ্ঞাপন বা কাজটা দেখেছি। ফেসবুকে অনেকে নানা রকম কমেন্ট করে। আমার কাজ নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথা লেখে, ভুল হলে সমালোচনা করে। বুঝতে পারি, আমাকে নিয়ে তাদের প্রত্যাশা অনেক। ইনফ্যাক্ট আমি খুব অনুপ্রাণিত হই। আমার খুব ভালো লাগে।
এ এম বি/ পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)