যারা যুদ্ধাপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়েছে জাতি তাদের কখনই ক্ষমা করবে না-প্রধানমন্ত্রী

আকন মোঃ বসির
আকন মোঃ বসির, প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:০৮ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | আপডেট: ০৭:০৯ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যারা এদের (স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী) মন্ত্রী বানিয়েছিল, আমার লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তাদের হাতে যারা তুলে দিয়েছিল, তাদের ব্যাপারে জাতিকে সচেতন থাকতে হবে। জাতি তাদের কখনই ক্ষমা করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকালে, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা মা-বোনকে রেপ করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, লুটপাট করেছে; তারা যুদ্ধাপরাধী। যাদের বিচারের রায় আমরা কার্যকর করেছি। ‘যারা এদের (স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী) মন্ত্রী বানিয়েছিল, আমার লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তাদের হাতে যারা তুলে দিয়েছিল, তাদের ব্যাপারে জাতিকে সচেতন থাকতে হবে। জাতি যেন কোনোদিন তাদের ক্ষমা না করে। জাতির কাছে আজকের দিনে এটাই আমার আবেদন।’প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আসার পরই বাংলা আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়। প্রতিটি অর্জনের পিছনে এদেশের মানুষের ত্যাগ রয়েছে। শুধু দিবস নয়, মাতৃভাষার মর্যাদা দিতে হবে। মাতৃভাষা চর্চা সবার একান্ত অপরিহার্য।’তিনি বলেন, ‘১৯৭৫’র পর এক সময় দেখেছি অনেকেই নিজে মুক্তিযোদ্ধা তা বলার সাহস পেতেন না। সরকারি চাকরি পাবার জন্য তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা কথাটা লিখতে সাহস পেতেন না, কারণ তাহলে চাকরি পাবে না। কি দুর্ভাগ্য আমাদের, ’৭৫ এ জাতির পিতাকে হারাবার পর এই অবস্থা বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছিল। তখন ছিল রাজাকারদের দাপট। ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পর অন্ততপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে আজকে মানুষ গর্ববোধ করে। ভীত-সন্ত্রস্ত হয় না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসগুলো আবার সামনে এসেছে। মানুষ বলার সুযোগ পাচ্ছে, লেখার সুযোগ পাচ্ছে। অন্তত সেই আত্মবিশ্বাসটা ফিরে এসেছে।’ তিনি বলেন, এই আত্মবিশ্বাসটা যেন হারিয়ে না যায়। আবার আমাদের সেই অন্ধকারের দিকে যেনো যেতে হয়। সেই পরিবেশ যেন ভবিষ্যতে আর কোনেদিন বাংলার মাটিতে না আসে। সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উচ্চ আদালতের রায় লেখা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।ভাষার বিকৃত ব্যবহারের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকেই বাংলা ভাষা ইংরেজি টোনে বলেন। সেটা কেন আমি জানি না। এই বিকৃতি থাকবে কেন? প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অন্য ভাষা শেখার পক্ষে। কিন্তু আমার মায়ের ভাষা, সেই ভাষার চর্চাটাও তো থাকতে চাই। সেটা পরিবার থেকেও উৎসাহিত করতে হবে
এ এম বি/ পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)