ইমাম আবু হানিফার মাথায় মলমূত্র ঢালার মূল হোতা গ্রেফতার

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ২১ জুন ২০১৮

মলমূত্র ঢালার মূল হোতা গ্রেফতারবরিশালে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে হেরে ইমাম আবু হানিফার (৫০) মাথায় মল-মূত্র ঢেলে লাঞ্ছিতের ঘটনার মূল হোতা ও মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২০ জুন) রাতে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জাহাঙ্গীর খন্দকার বাকেরগঞ্জ উপজেলার লোছনাবাদ এলাকার মৃত ইসতেহার খন্দকারের ছেলে।

বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইমামের মাথায় মল-মূত্র ঢালার ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর খন্দকার গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।

তিনি উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে বুধবার রাতে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

মামলার বাদী কাঁঠালিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসার সুপার ও নেছারবাগ বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম আবু হানিফা বলেন, পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়েছি বুধবার রাতে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর খন্দকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হন এইচ এম মজিবর ও জাহাঙ্গীর খন্দকার। নির্বাচনে ইমাম আবু হানিফা সভাপতি প্রার্থী এইচ এম মজিবর রহমানের পক্ষ নেন। নির্বাচনে বিজয়ী হন এইচ এম মজিবর রহমান। পাশাপাশি সভাপতি প্রার্থী জাহাঙ্গীর খন্দকার হেরে যান। এ নিয়ে আবু হানিফার সঙ্গে জাহাঙ্গীর খন্দকারের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এতে জাহাঙ্গীর খন্দকার ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় ইমাম আবু হানিফাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।

গত ১১ মে ফজরের নামাজের পর ইমাম আবু হানিফা মসজিদ থেকে বের হলে তার পথরোধ করে পরাজিত প্রার্থী ও তার লোকজন। এ নিয়ে ইমামের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর খন্দকারের এক সহযোগী ইমাম আবু হানিফার হাত ধরে ফেলে। এ সময় ইমন নামে তার আরেক সহযোগী হাঁড়িভর্তি মল-মূত্র এনে ইমাম আবু হানিফার মাথায় ঢেলে দেয়। সেই সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে দৃশ্যটি ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয় তারা। সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। প্রতিবাদের ঝড় বইতে শুরু করে সর্বত্র।

এ ঘটনায় গত ১৩ মে ইমাম আবু হানিফা বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর খন্দকার, জাকির হোসেন জাকারিয়া, মো. মাসুম সরদার, মো. এনামুল হাওলাদার, মো. রেজাউল খান, মো. মিনজু, জাহাঙ্গীর খন্দকার, সোহেল খন্দকার ও মিরাজ হোসেন।

মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে আসামি ফরহাদ হোসেন, মো. মিনজু, বেল্লাল হোসেন ও সোহেল খন্দকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে বুধবার রাতে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে মামলার অন্যতম আসামি জাকির হোসেন জাকারিয়া, মো. মাসুম সরদার, মো. এনামুল হাওলাদার ও মো. রেজাউল খান এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।(সূত্রঃ বাংলাদেশ টুডে)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২১ জুন

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)