তালতলীর সহাস্রাধিক চাকরীজীবির বেতন তুলতে দুর্ভোগ

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ১ জুলাই ২০১৮

বেতন তুলতে দুর্ভোগতালতলী প্রতিনিধি
তালতলীতে সোনালী ব্যাংকের শাখা ও হিসাব রক্ষন অফিস না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের ১৭টি দপ্তরের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ইসলামী ফাউন্ডেশনসহ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী মিলে প্রায় সহাস্রাধিক চাকুরীজীবি তালতলীতে কর্মরত থাকলেও তারা বেতন তোলেন পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলী সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তালতলী-আমতলী আসন থেকে নির্বাচন করার সময় তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১০ সালের ৬মে তালতলী উপজেলা ঘোষনা করেন। সে অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১০জুন তালতলী উপজেলার কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় উপজেলা পরিষদে ১৭টি দপ্তর চালু করে। পর্যায়ক্রমে চালু হয় সরকারি-বেসরকারি অনেক দপ্তরের কার্যক্রম। এ উপজেলা পরিষদের সরকারি ১৭টি দপ্তরে রয়েছে প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী। ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১২টি মাদ্রাসা মিলে শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক। ২টি কলেজ ও ১টি সিনিয়র মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ প্রভাষক মিলে রয়েছে প্রায় শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী। ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রে রয়েছে ৯৪জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।

এ ছাড়াও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মেম্বর ও সচিব মিলে রয়েছে ৯৮জন। পূর্বে তালতলী আমতলী উপজেলার সাথে থাকার সময় সকল শিক্ষক কর্মচারীদের এ্যাকাউন্ট ছিল আমতলী উপজেলা সোনালী ব্যাংকে। উপজেলা পৃথক হওয়ার পরে তালতলীতে কোন সোনালী ব্যাংকের শাখা না থাকায় প্রতিমাসে তাদের বেতন আনতে হয় পার্শ্ববর্তী ৩০ কিলোমিটার দুরের উপজেলা আমতলী সোনালী ব্যাংকের শাখা হতে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের এ্যাকাউন্টও রয়েছে সোনালী ব্যাংকে। তাদেরও যেতে হয় আমতলীতে। গত ৬বছর আগে উপজেলার কার্যক্রম চালু হলেও অদ্যাবদি আসেনি হিসাব রক্ষন (এজি) অফিস। উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিসগুলোতে হিসাব রক্ষন অফিসের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের অনুকূলে এডভাইস এর মাধ্যমে বেতন তোলাসহ সকল লেনদেন করতে হয়। হিসাবরক্ষন অফিস না থাকার কারনে উপজেলার ঠিকাদারদেরও বিল তুলতে দুর্ভোগের আর শেষ থাকেনা।

উপজেলা প্রকৌশলী এস এম তৈয়বুর রহমান বলেন, একদিকে আমাদের জনবল কম। অন্যদিকে তালতলীতে সোনালী ব্যাংক ও হিসাব রক্ষন অফিস না থাকার কারনে অফিস তথা আমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাজ করতে বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনসহ সকল সরকারি দপ্তরগুলোর আর্থিক লেনদেন হিসাব রক্ষন অফিসের সাথে সম্পৃক্ত। হিসাব রক্ষন অফিস এ্যাডভাইসের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে পাঠায়। সে কারনে তালতলীতে সোনালী ব্যাংক আসলেই হিসাব রক্ষন অফিস এসে যেত। তাই দ্রুত তালতলী সোনালী ব্যাংকের শাখা প্রয়োজন।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১ জুলাই

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)