তার বিবাহিত স্বামীর সংখ্যাই ২০ জন

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:০৭ পিএম, ২ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ০৩:১৩ এএম, ৩ মার্চ ২০১৮

অনলাইন ডেস্কঃ
পরিচয় দেন বাংলা সিনেমার নায়িকা। যদিও মূল চরিত্রে কখনো দেখা যায়নি। অনেকে দেখলে হয়তো চিনবেনই না। প্রধান শখ, বিয়ে করা। উদ্দেশ্য বিনোদন ও প্রতারণা। হাতিয়ার তার মামলা ও দেনমোহর। এটা সিনেমা জগতের নায়িকার কথা না; বলছি বাস্তবের এক খলনায়িকার কথা।

কিছু কিছু সিনেমায় তাকে পার্শ্বচরিত্রে দেখা গেলেও সেই পরিচয় ভাঙিয়ে ফায়দা লুটে যাওয়াই তার কাজ। সরব সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। নিত্য নতুন ছবি আপলোড করেন নানা তারকার সঙ্গে। আর তা দেখেই তার পেছনে জড়ো হয় ভক্ত শ্রেণি। চালিয়ে যান ইনবক্সে যোগাযোগ। নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন নানা পুরুষের সঙ্গে। একটা সময় বিয়েও করে ফেলেন। সেখানে উচ্চ দেনমোহর ধার্য করা তার মূল উদ্দেশ্য।

এরপরই শুরু করেন আসল খেলা। সংসারে নানা গণ্ডগোল বাধিয়ে স্বামীর নামে ঠুকে দেন মামলা। এরপর দেনমোহর আদায় করে নামেন নতুন মিশনে। জেলায় জেলায় বিয়ে করা সেই পাত্রীর নাম ছোলেমা খাতুন ওরফে সাদিয়া আক্তার তমা। এ পর্যন্ত তার বিবাহিত স্বামী পাওয়া গেছে ২০ জন। তবে স্বামীর মতো সময় পার করা অবিবাহিত বন্ধুও তার আছে কয়েক ডজন।

উঠে এসেছে তমাকে নিয়ে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২৯তম এ পর্বের নাম ‘এক ফুল ২০ মালি’।

তমার দ্বিতীয় স্বামী স্বপন শেখ বলেন, ”আমরা বিয়ে করি ২০০৯ সালে। ২০১৩ পর্যন্ত আমরা ভালই ছিলাম। ২০১৩ থেকে সে মাঝে-মাঝে উধাও হয়ে যেত। ২০১৬ তেও সে উধাও। ২০১৬ সালে আমি তার নামে একটা মামলা করি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি সে ২০টা বিয়ে করেছে। তার প্রথম স্বামী সেলিম মিয়া। তাকে বিয়ে করছে আমার আগে, ২০০১ সালে। তারপর আমার সাথে বিয়ে হয় ২০০৯ সালে। তখন তো সে আর কুমারী না। সে কুমারী লিখেছে। অনেক বিয়ে সে ৩ দিনের জন্য করেছে। আমার পুরো বাসা-বাড়ির সবকিছু নিয়ে সে চলে গেছে। সব কিছু মিলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।”

তমার আরেক স্বামী আব্দুর রহিম মিঠু বলেন, ”আমাকে এক প্রকার জিম্মি করে এটা করা হয়েছে। আর্থিকভাবে, মানহানিভাবে, মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ আমি। দুইটা মামলা করেছে। প্রায় দেড় মাস জেলে ছিলাম।”

বেশিরভাগ বিয়েতে তমা নিজেকে কুমারী বলে দাবি করেছেন। আর সেইসব বিয়েতে দেনমোহর তিন লক্ষ টাকা থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত লিখিয়েছেন।

তমার বিয়ে সম্পন্ন করা একজন রেজিস্ট্রার কাজী মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৫ সালের ২৫ মার্চে তার একটা বিয়ে হয়েছে গাজীপুরে। ছেলের নাম শামছুজ্জামান সুজন। তাকে তালাক দেওয়ার পর ২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল আব্দুর রহমান মিঠুর তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। প্রথম বিয়ের দেনমোহর ছিল দুই লাখ টাকা। দ্বিতীয় বিয়ের দেনমোহর ছিল আট লাখ টাকা।

অর্থাৎ, দুইটা বিয়ের মধ্যে সময়ের পার্থক্য মাত্র একবছর ১৫ দিন।

অপর এক নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. নুর হোসেন বলেন, সাদিয়া আক্তার তমা ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সুজনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তখন তিনি নিজেকে কুমারী বলেই পরিচয় দেন।

অর্থাৎ, এই বিয়ের তিন মাস ১১ দিনের মাথায় তিনি ফের বিয়ে করেন ২৫ মার্চ।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে তমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কয়েকজন তাকে স্ত্রী বলে দাবি করেছেন এবং তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন- এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তমা বলেন, ”এমন কোন বিষয় আমার জানা নেই। আমি আপনাকে কিছুক্ষণ পরে ফোন দিচ্ছি।”

এরপরই বন্ধ হয়ে যায় তমার মুঠোফোন নম্বর।(সূত্রঃ নিউজ টোয়েন্টিফোর টিভি)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২ মার্চ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)